চোখ আমাদের জীবনে মূল্যবান সম্পদ।
যাদের চোখ নেই তারাই বুঝবে আলোর কদর ও মূল্য কতটা।
চোখের মূল্য কতটা আমি তা বুঝতে পারি আমার বয়স যখন ২৩ থেকে ২৪ শের গুড়ায় হামাগুড়ি দিচ্ছিলো
১৮/১২/২৩ থেকে পথ চলা শুরু করি সাহারিয়া গিল্ডেন নামে ফ্যাক্টরিতে?স্বপ্ন দেখার আগেই অন্ধকার হয়ে পড়ে জীবন।
২২/১২/২৩ হঠাৎ বা পাশের চোখ দিয়ে দুনিয়ার আলো দেখতে পাই না?
সব কিছু অন্ধকার আচ্ছন্ন।
মেডিকেল থেকে মেডিকেল দৌড়াদৌড়ি,, এসবের মাঝে নিজেই আবিষ্কার করলাম আগে লোকমুখে শুনতাম আর এই পরিস্থিতিতে নিজেই জানলাম ভুয়া ডাক্তার দিয়ে আমাদের দেশ ভর্তি?
জীবন টাই আমার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিলো কত টাকা খরচ হতে লাগলো।
তবুও চিকিৎসা হচ্ছিলো না। চোখের ভাইরাস এক চোখ থেকে অন্য চোখে ছড়িয়ে যাচ্ছিলো।তা পরে জানতে পারলাম।
জাতীয় চক্ষু ইন্সটিটিউট থেকে
১০/১/২৪ ওখানে গিয়ে ডক্টর দেখানোর পর তারাও একটু ঘাবড়ে যায়।
তারপর আমাকে কত গুলো টেস্ট দিলো।
এগুলোর রিপোর্ট আসতে
আসতে ১৪ তারিখ হয়ে যায়।
তারপর ১৫ তারিখ থেকে আমার ট্রিটমেন্ট শুরু হয়।
আরেক ভয়ানক পরিস্থিতি ?আমার জীবন টাই খুব ভয়াবহ হয়ে গেলো।
৩ টা ইনজেকশনের মাধ্যমে আমার শিরা পথে মেডিসিন প্রবেশ করানো হয়।
।প্রথম টা দেওয়ার সাথে সাথে আমার জীবন থেকে স্বাদ গন্ধ অনুভব করার শক্তি হারিয়ে ফেলি।
তারপর শরীর ফোলে যায় আস্তে আস্তে সব কিছু অসহ্য লাগা শুরু করলো।
আরো বেদনাদায়ক হলো এসবের মাঝে বাবা কে হারালাম।
বাবাকে হারানোর পর আমার অসুস্থতা আরো বাড়তে শুরু করলো।
আমি মনে হচ্ছে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসতে গিয়ে আরো জীবনে টাই অন্ধকার কারে তলিয়ে নিচ্ছিলাম।
ডক্টরা তো বন্ড সই নিয়েই খালাস এদিকে আমার শরীর মাথা আমার খাবারের স্বাদ সব কিছু ছিনিয়ে নিলো।
দীর্ঘ একটা বছর জীবনে বড় হওয়ার পর রোজা মিস করি নাই কিন্তু ২০২৪ সালের রোজা আমার জন্য ছিলো না।
আলহামদুলিল্লাহ চোখ তো সামান্য ভালো হয়েছে কিন্তু আমাকে সারাজীবনের জন্য ভোগান্তি নিয়ে বাঁচতে হবে।ভুগতে হচ্ছে শরীরের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।