পরিকল্পনার অভিপ্রেত ফলকে লক্ষ্য বলে। পরিকল্পনা সবসময় লক্ষ্যামুখী।লক্ষ্য নির্ধারণ যেমন একটি পরিকল্পনা তেমনই এ লক্ষ্য অর্জুনের জন্য যে কর্ম পন্থা ঠিক করা হয় তাও পরিকল্পনা।
মানুষ ভালো মন্দ যাই করুক না কেন তার একটা লক্ষ্য থাকে। কারণ সচেতন মানুষ লক্ষহীন উদ্ভ্রান্তের মত কোন কাজ করতে পারেনা। কাজ শুরু পূর্বে তার অর্থাৎ এই কাজ থেকে কি পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে তা বুঝে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অতঃপর তার আলোকে পরিকল্পনা হয়ে থাকে।
ব্যবস্থাপনা একটা প্রক্রিয়া যার অধীনে পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মী স্থান, নির্দেশনা, সোনা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ পারি ধারাবাহিকতায় সম্পূর্ণ হয় তাড়িত লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে।
তাই ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের মূলে থাকে লক্ষ্য।এ লক্ষ্য অর্জনের জন্যই প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয় ও ব্যবস্থাপনার অন্যান্য কর্মকান্ড পরিচালিত হয়।
ধরা যাক, একটা প্রতিষ্ঠান আগামী বছরের বিক্রয় পরিমাণ ২৫ পার্সেন্ট বৃদ্ধির লক্ষণ খাতা নির্ধারণ করেছে। এখন সেভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজারজাতকরণ প্রসার কর্মসূচি তৈরি, বাজার সম্প্রসারণ, অর্থ সংস্থান স্ববি ভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা নিবে।
প্রত্যেকটা বিভাগ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে অধীর লক্ষ্য নির্ধারণ করবে ও সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে অ এভাবে লক্ষ্য সকল কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।