দুর্যোগকালে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঠাণ্ডা মাথায়। বন্যায় বাড়িঘর ডুবে গেলে বা বাড়িতে বসবাস করা সম্ভব না হলে বাড়ির কাছাকাছি কোথাও অবস্থান নিতে হবে।
জিনিসপত্র বাড়ির ছাদে রাখা যেতে পারে। কারো পরামর্শে নিজ গ্রাম ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে শহরে যাওয়া উচিত নয়। নিজ গ্রামে থাকা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে পাশের গ্রামে আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। অথবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েও থাকা যায়।
বন্যা কবলিত নয় এমন স্বজনদের বাড়িতে গবাদি পশু রেখে আসা অথবা গবাদি পশুকে কোনোভাবেই রক্ষা করা না গেলে তা বিক্রি করে টাকা ব্যাংকে জমা রাখা।
বন্যার সময় যেহেতু সুপেয় পানির সঙ্কট দেখা দেয়, তাই এসময় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করে অথবা পানি ফুটিয়ে নিরাপদ করা যেতে পারে।
শুধু সুপেয় পানি নয়, বন্যার সময় আরেক আতঙ্ক হলো সাপ। এসময় সাপের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। তাই বাড়িতে কার্বলিক এসিডের বোতলের মুখ খুলে রাখা যেতে পারে।
বন্যার সময় সাঁতার না জানা শিশুদের দিকেও সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হবে। আর নৌকা না থাকলে যাতায়াতের জন্য কলাগাছের ভেলা তৈরি করা যেতে পারে।
এছাড়া নিজ নিজ এলাকার মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার।