ঘুষ একটি সমাজবিধ্বংসী ব্যাধি, যা নৈতিকতা, অর্থনীতি এবং আইনের শাসনকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অন্যায়ভাবে ব্যক্তিগত লাভের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে। ঘুষের ফলে সমাজে ন্যায়বিচারের অভাব দেখা দেয়, কারণ ঘুষের মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি এড়িয়ে যায় এবং ন্যায়বানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অর্থনৈতিক দিক থেকে, ঘুষ দেশের উন্নয়নের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করে। এটি সরকারের রাজস্ব কমিয়ে দেয় এবং সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা অর্থ অপচয় করে। ঘুষের কারণে দরিদ্র ও দুর্বল শ্রেণীর মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, যা দারিদ্র্য ও বৈষম্যকে আরও প্রকট করে তোলে।
আইনের শাসনের ক্ষেত্রে, ঘুষ প্রশাসনের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট করে। যখন মানুষ দেখে যে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাশালীরা সুযোগ নিচ্ছে, তখন সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এই কারণেই ঘুষকে একটি মরণব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়, যা সমাজকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেয়।
এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে, প্রয়োজন শক্তিশালী আইন প্রয়োগ, নৈতিক শিক্ষা এবং জনসচেতনতার বৃদ্ধি। একটি ন্যায়সঙ্গত ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে ঘুষের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করা অপরিহার্য।