ফলের বিবরণ

ভিটামিনের প্রধান উৎস ফল

বাংলাদেশে বছরে ৩ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ৪৭ লাখ মেট্রিক টন ফল উৎপাদন হয়। কিন্তু দেশের বাৎসরিক চাহিদা রয়েছে ৬১.১৭ মেট্রিক টন।

২০১৩-১৪ সালে ফলের মোট উৎপাদন ছিলো ৯৯ লাখ ৭২ হাজার ২৪৭ মেট্রিক টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৪ মেট্রিক টন, বৃদ্ধির হার শতকরা ২১ ভাগ।

উল্লেখ্য, এ দেশের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার। কিন্তু খায় প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম ফল। দেশে মোট চাহিদার শতকরা ৬৫ ভাগ ফল উৎপাদন হয়, বাকী ৩৫ ভাগ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে আমদানী করে মেটানো হয়। অথচ বাংলাদেশের আবহাওয়া প্রায় ৭০ প্রকারেরও বেশী জাতের ফল চাষের উপযোগী যা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিরল।

বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও তার চাষ সম্প্রসারণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

নিয়মিত ফল খেলে দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও কর্মদক্ষতা বাড়ে, ক্লান্তি দূর হয়, সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে ও ভাতের উপর চাপ কমবে।

মানুষের জন্য অত্যাবশীয় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের উৎস হলো দেশীয় ফল। ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও হজম, পরিপাক, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দুরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদন, এ্যান্থোসায়ানিন, লাইকোপেন ও এন্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকায় মরণ ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফলের অবদান অনস্বীকার্য

দেশে যে সব ফল উৎপাদন হয় তার শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ উৎপাদিত হয় জুন-জুলাই ও আগষ্ট মাসে। শীতকালে ফল পাওয়ার সুযোগ কম। শীতকালে যেসব ফল (কুল, কলা, পেঁপে, তেঁতুল) উৎপাদন সুবিধা আছে সে ফলের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে চাষ উপযোগী বিদেশী জাতের বিভিন্ন ফল আবাদের পরিমাণ বাড়িয়ে সারা বছর ফল প্রাপ্তি সম্ভব।


Badhon Rahman

177 Blog posts

Comments
Abu Hasan Bappi 16 w

আচ্ছা