বাংলাদেশ একটি নদী মাতৃক দেশ। এ দেশে রয়েছে বিভিন্ন নদ ও নদী। যেমন, পদ্মা, মেঘনা,যমুনা। এগুলো নদীর আবার রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। আসুন জেনে নেই।
১.পদ্মা নদীর বৈশিষ্ট্য :
পদ্মা বাংলাদেশের প্রধান নদী। এটি হিমালয়ে উৎপন্ন গঙ্গানদীর প্রধান শাখা এবং বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশে নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার (নদী রক্ষা কমিশন রিপোর্ট ২০২৩) গড় প্রস্থ ১০ কিলোমিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
২.মেঘনা নদীর বৈশিষ্ট্য :
নদীটির দৈর্ঘ্য ১৫৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩৪০০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। মেঘনা চাঁদপুরের মোহনা থেকে শুরু করেই সবথেকে বেশী খরস্রোতা হয়েছে এবং মেঘনা ভোলার শুরু থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০০কি:মি: প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
৩.যমুনা নদীর বৈশিষ্ট্য :
যমুনার নদী উপত্যকার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যটি হল সিন্ধু গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা ও যমুনার মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত অতি উর্বর পললসমৃদ্ধ 'গঙ্গা-যমুনা দোয়াব' অঞ্চল। প্রায় ৫৭,০০০,০০০ মানুষ যমুনার জলের উপর নির্ভরশীল। যমুনা নদীতে বার্ষিক ১০,০০০ কিউবিক মিটার জল প্রবাহিত হয়।
উপনদী শাখানদীসহ বাংলাদেশের নদীর মোট দৈর্ঘ্য হলো প্রায় ২২,১৫৫ কিলোমিটার ।শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ১,০০৮ টি নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২২,১৫৫ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা প্রায় ১,০০৮ টি । এ নদ-নদীগুলোর উপনদী ও শাখানদী রয়েছে।