সঠিক নেতৃত্ব ছাড়া কোনো জাতি, দেশ, কোনো সংগঠন চলতে পারে না। জাতির উত্থান-পতন অনেকাংশে নির্ভর করে নেতৃত্বের ওপর।
সমাজের উন্নয়নের জন্য সামাজিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। সমাজে যৌতুকপ্রথা, বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিংয়ের মতো অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। এসবের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। তরুণ সমাজ ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি।
নেতৃত্বের অনেক গুণের মধ্যে প্রথমেই নিজের মধ্যে রাষ্ট্র ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার তাগিদ থাকতে হবে। নেতাকে সমাজের উপকারে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। প্রত্যেক সংগঠনে অবশ্যই একজন নেতা থাকবেন। তাকে অন্যদের প্রেরণা দিতে হবে। তার এমন কাজ করা উচিত, যাতে সমাজের ১০ জন মানুষ তাকে অনুসরণ করবে।
একজন নেতার অন্যকে উৎসাহিত করার ক্ষমতা থাকতে হবে। যদিও আমাদের এখানে নেতা আছেন; কিন্তু উৎসাহ দেয়ার মতো মন-মানসিকতা নেই। সমাজে যিনি নেতৃত্ব দেবেন, তার প্রভাবিত করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাকে বুদ্ধিমান, আত্মবিশ্বাসী, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সর্বোপরি সামাজিক নেতা হতে হবে। তার মধ্যে যদি যোগাযোগ দক্ষতা না থাকে তাহলে তার কাজ অপ্রকাশিত থেকে যাবে। তাই দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে সৎ নেতৃত্বের গুরুত্ব অপরিসীম।