ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা আমাদের পৃথিবীর ভূত্বকের অভ্যন্তরে সঞ্চিত শক্তির আংশিক মুক্তির ফলে সৃষ্টি হয়। এই শক্তি ভূতলের প্রকম্পনের সৃষ্টি করে যা কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ভূমিকম্প কখনো হালকা হতে পারে আবার কখনো তীব্র হয়ে ভয়াবহ ধ্বংসযুক্ত চালায়।
ভূমিকম্পের কারণ ও উৎপত্তি:
পৃথিবীর ভূত্বক অনেকগুলো টেকনিক প্লেট দ্বারা গঠিত যা সব সময় ধীরগতিতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। যখন দুটি প্লেট পরস্পরের বিরুদ্ধে চলে তখন তাদের মধ্যে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়। এক সময় এই চাপ সীমা অতিক্রম করে এবং প্লেটগুলো হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তন করে। এই প্রক্রিয়ায় ভূত্বকের অভ্যন্তরে সঞ্চিত শক্তি মুক্ত হয়ে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল কে বলা হয় উপকেন্দ্র আর এই সঠিক উপরিভাগের স্থলকে বলা হয় এপিসেন্টার।
ভূমিকম্পের প্রভাব:
ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করে এর প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ। ভূমিকম্পের ফলে ভবন সড়ক সেতু ইত্যাদি ধসে পড়ে। এবং মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। যেসব এলাকায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নিকটবর্তী সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়। এছাড়া ভূমিকম্পের ফলে ভূমিধস সুনামি এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন পাতের মতো পরবর্তী প্রকৃতি দুর্যোগ ঘটতে পারে।
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস ও প্রতিরোধ:
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া এখনো আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করতে পারে কিন্তু সুনির্দিষ্ট সময় ও স্থানে পূর্বভাস দেওয়া সম্ভব হয় না।