বন্যা হল প্রকৃতির একটি বিপর্যয়কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাইজ ভোটে থাকে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত নদীর পানি উৎসে পড়া বা সমুদ্রে জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঘটে থাকে। বন্যা আমাদের জীবনের যেমন প্রচুর ক্ষতি করে তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে।
বন্যার কারণ:
বন্যার প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত। যখন কোন অঞ্চলে একটা না ভারী বৃষ্টিপাত হয় তখন নদী খাল এবং জলধারাগুলো পানি ধারণক্ষমতা বাইরে চলে যায় এবং উচ্ছে পরে আশপাশে এলাকা গুলিতে বন্যা সৃষ্টি হয়।। এছাড়াও গ্লোবাল ওয়ারমিং এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে যা উপকূলীয় এলাকায় বন্যার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো কখনো বাঁধ বা জল ধরে ভেঙে পড়ার বন্যার কারণ হতে পারে।
বন্যার প্রভাব:
বন্যার প্রভাব অন্তত ধ্বংসাশী হতে পারে। এটি ফসলের জমি এবং গবাদিপ পশুর ক্ষতি করে যার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ঘরবাড়ি রাস্তা এবং অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেক মানুষ গৃহীন হয়ে পড়ে এবং আশ্রয়ের সন্ধানে বাধ্য হয় অনুত চলে যেতে। স্বাস্থ্য বিধি ভেঙ্গে পড়ার কারণে বন্যার পর বিভিন্ন সংক্রামক রোগের অদর্ভাব দেখা দিতে পারে। বিশেষত বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং মহা মশাবাহিত রোগ গুলি সাধারণত হয়ে থাকে। এছাড়া বন্যা ও পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে নদীর তীর ভাঙ্গা ভূমি ধস এবং মাটি ক্ষয় প্রভৃতি পরিবেশগত সংস্থার সৃষ্টি করে থাকে।
বন্যা মোকাবেলা প্রতিরো:
বন্যা মোকাবেলার জন্য আগাম প্রস্তুতি অন্তত জরুরি। সঠিকভাবে বন্যার পূর্বভাস দেওয়ার জন্য আবহাওয়া বিভাগের উন্নত প্রযুক্তি এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ জলধারের যশোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং বন্যা প্রবণ এলাকায় উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করা একান্ত জরুরী। এছাড়া বন্যার সময় ত্রাণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্বাভাসন করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বন্যা পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে শিক্ষক প্রধানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।