মানবাধিকার হলো প্রত্যেক মানুষের প্রকৃতিগত ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার। এ অধিকারগুলো কোনও জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সর্বজনীন। মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সমাজের মৌলিক দায়িত্ব।
জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালে মানবাধিকার সনদ প্রণয়ন করে, যা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সনদে মানবিক মর্যাদা, সমান অধিকার, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, এবং নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা সহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু, বাস্তবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে চলেছে। অনেকে নিপীড়ন, নির্যাতন, দারিদ্র্য, এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হলে বিশ্ব সম্প্রদায়ের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি। শুধু আইন প্রণয়ন বা সনদ গ্রহণ করলেই মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়; প্রয়োজন কার্যকর প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি। মানবাধিকার রক্ষার জন্য সামাজিক দায়িত্বশীলতা, শিক্ষা ও প্রচারণার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি ন্যায়সঙ্গত ও সহনশীল সমাজ গঠন করা সম্ভব।