সহমর্মিতা বা এ্যামোপ্যাথি মানবিক সম্পর্কের একটি অপরিহার্য দিক। এটি অন্যের অনুভূতি পরিস্থিতি এবং অভিজ্ঞতার প্রতি গভীর অনুভূতি ও বোঝাপড়া প্রকাশ করে। সহমর্মিতা কেবলমাত্র অন্যদের কষ্ট অনুভব করা নয় বরং তাদের পরিস্থিতিতে নিজেদের স্থানান্তরিত করে দেখানোর ক্ষমতা। এটি আমাদের সমাজের সম্পর্কের গুণগত মান উন্নত করতে এবং মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সহমর্মিতার সংজ্ঞা:
সমবেত হল অন্যের অনুভূতি এবং অবস্থার প্রতি এক ধরনের গভীর বোঝাপড়া। এটি অন্তর থেকে অন্যের কষ্ট বা সুখের অনুভূতি উপলব্ধি করতে সাহায্য করে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতির প্রকাশ ঘটায়। সহমর্মিতা মানে শুধু অন্যের দুঃখেও বুঝে তার পাশে থাকা নয় বরং তাদের আনন্দেও শামিল হওয়া এবং সেসব অনুভূতির প্রতি সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো।
সহমর্মিত উপকারিতা:
সহমর্মিতা মানুষের সম্পর্ককে গভীর ও শক্তিশালী করে। যখন আমরা অন্যদের অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করে তখন তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও সুসংগত হয়। এটি পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান সৃষ্টি করে এবং সম্পর্কের মধ্যে আন্তরিকতা ও আন্তরিক যোগাযোগ উন্নত করে। সহমর্মিতার মাধ্যমে সমাজের শান্তি ও সৌন্দর্য প্রতিষ্ঠিত হয় কারণ এটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর প্রেরণা দিয়ে থাকে।
সহমর্মিত জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে:
১. পারিবারিক সম্পর্ক: পরিবারের সহমর্মিতা একে অপরের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করার মাধ্যমে সম্পর্ককে মজবুত করে এটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহানুভূতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
২. শিক্ষা ক্ষেত্রে: শিক্ষকের সহমর্মিতা ছাত্রদের মানসিক বিকাশে সহায়ক হয় এবং তাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বিকাশের সাহায্য করে থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের আস্থা বৃদ্ধি করে এবং তাদের অগ্রগতির জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে।