ভয় এবং মজার মিলনমেলা

ভুতের সাজে ভয়ের উৎসব

অক্টোবরের শেষ দিনটি বিশ্বজুড়ে হ্যালোইন উৎসব হিসেবে উদযাপন করা হয়। এটি পশ্চিমা বিশ্ব তে অনেক জনপ্রিয় এবং সেই সাথে সাথে সারা বিশ্বে এর প্রভাব আছে।  ভুত, ভূত, কঙ্কাল, ডাইনী, জাদুকর, এবং অদ্ভুত পোশাকের মধ্যে দিয়ে, হ্যালোইন উদযাপন করা হয়। এটি শুধু  ভয়ের নয়, বরং আনন্দ এবং সৃষ্টিশীলতার মিশেলে একটি অনন্য উৎসব।

 

হ্যালোইনের ইতিহাস প্রায় ২০০০ বছর পুরানো। এই উৎসবটি মূলত শুরু হয়েছিল "সামহেইন" নামে প্রাচীন কেল্টিক উৎসব থেকে।  ঐ উৎসবটি নভেম্বরের শুরুতে শীতের আগমনী বার্তা হিসেবে মানুষ পালন করতো। কেল্টিক বিশ্বাস অনুসারে, সামহেইনের রাতে জীবিত এবং মৃতের জগতের মধ্যে পার্থক্য সূক্ষ্ম হয়ে যেত, এবং আত্মারা পৃথিবীতে ফিরে আসত। আত্মাদের ভয় দেখাতে, কেল্টরা আগুন জ্বালাতো এবং ভুতুড়ে পোশাক পরতো । এই জন্য আজকের হ্যালোইন এভাবে উদযাপন করা হয়।

 

অনেক দিনে অনেক অদ্ভুত রকমের পোশাক মানুষ পরে। অদ্ভুত সব ভূতুড়ে  আর ভয় জিনিস দিয়ে বাড়ি সাজানো হয়। বাড়িতে মেহমানরা বিভিন্ন ভয়ের পোশাক পরে আসেন। ভয় মিশ্রিত আনন্দ এর সাথে জুড়ে থাকে । 

 

যদিও হ্যালোইন মূলত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, এবং আয়ারল্যান্ডের মতো পশ্চিমা দেশগুলোতে উদযাপিত হয়, এটি এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, এবং এমনকি বাংলাদেশেও ছোট পরিসরে হ্যালোইন উদযাপনের প্রবণতা দেখা যায়। স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে এটি নতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে।

 

বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে এ উতসবের গুরুত্ব অনেক। এই উৎসব কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কস্টিউম ডিজাইন করা হয়, বিভিন্ন নাটক সিনেমা নির্মাণ করা হয়। এভাবে অনেকে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অর্থনীতিতে এসবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। 


Adeel Hossain

242 Blog posts

Comments