রেলগাড়ী

আসুন জেনে নেই রেলগাড়ী বা ট্রেন আবিষ্কারের ইতিহাস

১৮০২ সালে ইউনাইটেড কিংডমে বাষ্পীয় লোকোমোটিভ আবিষ্কারের পর , ট্রেনগুলি দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে মালবাহী এবং যাত্রীরা আগের চেয়ে দ্রুত এবং সস্তায় জমির উপর দিয়ে চলাচল করতে পারে। দ্রুত ট্রানজিট এবং ট্রামগুলি প্রথম ১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে শহরগুলিতে এবং এর আশেপাশে বিপুল সংখ্যক লোককে পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

১৯২০ এর দশকের শুরুতে, এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ত্বরান্বিত হয়ে , ডিজেল এবং বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভগুলি বাষ্পকে মোটিভ পাওয়ারের মাধ্যম হিসাবে প্রতিস্থাপন করে।

ট্রেন যে সমান্তরাল ধাতব পাতদ্বয়ের উপরে দিয়ে চলে হয়, তাকে বলা হয় রেললাইন। আধুনিক চৌম্বকীয় ট্রেন অবশ্য রেললাইনের উপরে শূন্যে চালিত হয়ে থাকে। রেললাইনে সাধারণত দুটি সমান্তরাল পাত থাকে, তবে কিছু ট্রেন, যেমন মনোরেইলে একটি মাত্র পাত থাকে।

ট্রেনের যাত্রী বা মালামাল পরিবহণকারী কক্ষগুলোকে বগি বলে। ট্রেনের বগিগুলোর প্রতিটির তলায় ধাতব চাকা থাকে। বগিগুলো সামনে ও পিছন দিকের সংযোগস্থলের সাহায্যে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে।

ট্রেনের ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ দিয়ে রেলের বগিগুলোকে চালনা করা হয়। বিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত রেলইঞ্জিনগুলো ছিল বাষ্পচালিত। বর্তমানে অবশ্য ডিজেল বা বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ব্যবহার বেশি।

রেল লাইনের কিছুদূর পরপর ট্রেন থামার স্থানগুলোকে রেলওয়ে স্টেশন বলা হয়। দুইয়ের অধিক রেলপথ যেসব রেলস্টেশনে এসে মিলিত হয়, সেসব রেল স্টেশনকে জংশন স্টেশন বলা হয়।

 


Badhon Rahman

177 Blog posts

Comments