মানবজাতির কল্যাণ এবং পারস্পরিক সহাবস্থানের ওপর জোর দেয়। ইসলামের মূল শিক্ষাগুলোতে শান্তি, সমতা, এবং ন্যায়বিচারের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইসলামের নাম থেকেই বোঝা যায়, এটি শান্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। "ইসলাম" শব্দটি আরবি "সালাম" থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ শান্তি। ইসলামিক শিক্ষাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মধ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ (শাহাদা, সালাত, সাওম, যাকাত, হজ) মানুষের মন ও শরীরকে শুদ্ধ করে এবং আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করে, যা সামগ্রিকভাবে সমাজে শান্তি আনে।
ইসলাম মানুষকে পরস্পরের প্রতি সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, এবং সহানুভূতির শিক্ষা দেয়। কুরআন ও হাদিসে বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে মানুষকে একে অপরের সঙ্গে সহানুভূতিশীল এবং দয়ালু হতে বলা হয়েছে। নবী মুহাম্মদ (সা.) তার জীবনে সহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতার উদাহরণ স্থাপন করেছেন, যা মুসলমানদের জন্য অনুসরণীয়।
ইসলাম সব ধরনের সন্ত্রাস এবং সহিংসতার নিন্দা করে। ইসলামে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা বা তাদের উপর অত্যাচার করা হারাম হিসেবে গণ্য হয়। কুরআনে বলা হয়েছে, "যে ব্যক্তি একটি প্রাণ বাঁচায়, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচায়" (সূরা মায়েদা, ৫:৩২)। এটি প্রমাণ করে যে, ইসলাম শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে এবং সহিংসতার কঠোর বিরোধী।
ইসলামে অন্য ধর্মের মানুষদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। নবী মুহাম্মদ (সা.) তার জীবনে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করেছেন এবং তাদের অধিকার রক্ষা করেছেন। ইসলামের এই শিক্ষাগুলো আজও মুসলমানদের জীবনে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইসলাম একটি সর্বজনীন ধর্ম, যা মানবজাতির জন্য শান্তি, সৌহার্দ্য, এবং কল্যাণের বার্তা বহন করে। এর শিক্ষাগুলো সমাজে শান্তি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসলামের মূলনীতিগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে, একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠন সম্ভব।