মর্যাদা একটি মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক দিক। এটি শুধু বাহ্যিক সম্মানের বিষয় নয় বরং মানুষের আত্মমর্যাদা নৈতিক মূল্যবোধ এবং নিজেকে নিয়ে গর্ববোধের প্রতিফলন। প্রতিটি মানুষ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং এটি তার সমাজের অবস্থান এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মানুষের জীবনে মর্যাদার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি আত্ম সম্মানের সাথে যুক্ত যা একজন মানুষকে নিজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ করতে শেখায়। একজন ব্যক্তির যে সমাজে বাস করে সে সমাজের অন্য সদস্যদের দ্বারা সম্মানিত হতে চায়। এই সময় অর্জন হয় শুধুমাত্র অর্থ বা সামাজিক অবস্থানের কারণে নয় বরং একজন ব্যক্তির নৈতিকতা কর্মের সততা এবং আদর্শের জন্য।
মর্যাদা একটু সমাজের ভিত্তি। যদি একজন ব্যক্তি অন্যের মজা থেকে সম্মান করে তবে সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। পরিবারের মধ্যেও একজন সদস্যের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলে পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয়। সমাজের প্রতিটি স্তরে মর্যাদার চর্চা করা উচিত যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করে সবাইকে সমান ভাবে মূল্যায়ন করা। এটাই সামাজিক সম্মতার মূল শিক্ষা।
তবে মর্যাদা কেবলমাত্র অন্যের সম্মান অর্জনের জন্যই নয় নিজের মধ্যেও এই মূল্যবোধের চর্চা থাকা আবশ্যক। নিজের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা মানে নিজেকে মূল্যায়ন করা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।