বিচার শব্দটি শুনলে আমাদের মনে একটি সততা ও অন্যায়ের ভাবনা জাগে। এটি কেবল একটি আইন প্রক্রিয়া নয় বরং এটি সমাজের মৌলিক নৈতিক মূল্যবোধ এবং মানুষের অধিকার রক্ষার একটি প্রতীক। সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখা অন্যায়ের প্রতিকার করা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সবকিছু বিচারের মাধ্যমে সম্ভব হয়ে থাকে।
একটি ন্যায় বিচারক সমাজ প্রতিষ্ঠান করার জন্য বিচার ব্যবস্থা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অপরদিকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং নিরব অপরাধকে ব্যক্তিকে রক্ষা করা হয়ে থাকে। এটি সমাজে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
একটি সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক। যদি মানুষ জানে যে আইন ও বিচার ব্যবস্থা সঠিক ও নিরপেক্ষ তাহলে তারা সমাজে ন্যায় এর প্রতি আস্থা রাখবে এবং অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে থাকবে। অন্যদিকে যদি বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি বা পক্ষতাত্র থাকে তবে সমাজের বিশৃঙ্খলা এবং অবিচার বাড়বে যা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিচারের মৌলিক শর্ত হলো নিরপেক্ষতার ও সততা। একজন বিচারককে সব সময় পক্ষ তাত্তিত্ব এবং প্রভাব মুক্ত থেকে ন্যায় বিচার করতে হবে। এতে করে সমাজের সকল সদস্য নিজেকে সম্মান এবং নিরাপত্তা মনে করবে। বিচারব্যবস্থার ওপর সকলের আস্থা থাকলে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও সহযোগিতার মনে হয় গড়ে ওঠে।