ম
ওয়া রহমাতুল্লাহ
ওয়া বারকাতুহু ,
দেশ ও জাতির এই ভয়াবহ দুর্যোগের সময় আমি আমাদের সকল আপনজনদের মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাই। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আল্লাহতালা মোমেনদের বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। প্রবল বন্যা ,ভারী বর্ষণ ও ভূমিকম্প সহ নানা দুর্যোগের বিপর্যয় দিয়ে তিনি তাদের ঈমানের পরীক্ষা নেন। আসলে এর সবগুলোই হচ্ছে আল্লাহর তালার পরীক্ষা। আল্লাহ তাআলা এই জাতিটাকে সব কয়টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তৌফিক দান করুন।
মাত্র কিছুদিন আগেও মহান আল্লাহতালা এই জাতিকে একটি বড়ো দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেছেন। আসুন ,আমরা সকলে মিলে আল্লাহর দরবারে আমাদের গুনাহ খাতার মাফির জন্যে দোয়া করি। কোনো ব্যক্তি, কোনো জাতি কিম্বা কোনো দেশ যতোই আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করূক না কেন -- কেউ কারো ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখেনা। সব কিছুর একমাত্র মালিক হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা। একমাত্র আল্লাহ তালাই আমাদের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করতে পারেন এবং একমাত্র তিনিই আমাদেরকে যাবতীয় দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে পারেন।
এই দূর্যোগ উত্তরনে যার যতোটুকু সামর্থ্য আছে তিনি ততোটুকু নিয়ে এগিয়ে আসবেন ---আমি তাই আশা করি। খাবার, পানীয় ও আশ্রয়সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়ে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই। এমনকি যে আপনার আপন নয় তাকেও বিপদ আপদে সাহায্য করুন। এভাবে চললে আমি একান্তভাবে বিশ্বাস করি বাঙালি মুসলমানরা এই ধরনের সব বিপর্যয় থেকে সহজেই রক্ষা পাবে।
১৯৭০ সালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ যখন জীবন দিয়েছে তখন সে উপদ্রুত অঞ্চলে সামান্য এক রিলিফ কর্মী হিসেবে কাজ করার স্মৃতি আজও আমার মনে আছে। তখন আমি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। সামগ্রিক প্রচেষ্টা থাকলে কিভাবে আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করেন তা আমি নিজের চোখে দেখেছি। এর পর গত পঞ্চাশ ষাট বছরে এখানে কম দূর্যোগ আসেনি ---আল্লাহ তায়ালা তার সব কিছু থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন । আমি জানি আল্লাহ্ তাআলা এবারও আমাদের রক্ষা করবেন। আমি আবারো সবাইকে এই দুর্যোগের সময় ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাবো। আসুন আমরা সকলে একনিষ্ঠভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়াই।
আল্লাহ তালা আমাদের সাহায্য করুন -- আমীন !