সমতা একটি মৌলিক নীতি যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সমান অধিকার সুযোগ এবং মর্যাদা নিশ্চিত করে। এটা সমাজের সকল মানুষের প্রতি সমান আচরণ এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। সমতা শুধুমাত্র একটি নৈতিক আদর্শ নয় বরং এটি একটি কার্যকর সমাজ গঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে থাকে যেখানে সকল সদস্য ন্যায়সঙ্গত ও সমান অধিকার ভোগ করে থাকেন।
প্রথমত, সমতা ব্যক্তিগত অধিকার এবং স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। প্রত্যেক মানুষ তার জন্ম ধর্ম জাতির লিঙ্গ বা অর্থ সামাজিক অবস্থার নির্বিশেষে সমান মর্যাদা ও অধিকার পাওয়ার যোগ্য। সমতার ভিত্তিতে মানুষ তার মত প্রকাশিক্ষা গ্রহণ কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং আইনগত অধিকার ভোগ করতে পারে। সমতার নিশ্চিত হলে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজে পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সমতা সমাজের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। সমাজে যখন সমতা প্রতিষ্ঠিত হয় তখন সকল সদস্যের মধ্যে ন্যায় বিচার এবং সাম্য প্রতিষ্ঠা হয়। এটি বৈষম্য অবিচার এবং নির্যাতন দূর করতে সাহায্য করে থাকে। সমতার মাধ্যমে একটি সমাজের দারিদ্র্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে বৈষম্য দূর করা যায়। যা সমাজের সকল স্তরে সমান সুযোগ সৃষ্টি করে।
তৃতীয়ত, সমতা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। গণতন্ত্রের মূলনীতি হল জনগণের মতামত স্বাধীনতা এবং সমান অধিকার কে সম্মান করা। যখন একটি সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠিত হয় তখন জনগণের মধ্যে আস্থা এবং একতাবদ্ধি পায়। তখন জনগণের মধ্যে আসতে কোন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একটি শক্তিশালী গড়হাতন্ত্রের ভিত্তি তৈরি করে। সমস্ত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং এটি সৃজনশীল অংশগ্রহণমূলক এবং স্থিতিশীল সমাজ গঠনে সহায়ক করে থাকে।