কর্মী হলেও সমাজে সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যিনি তার পরিশ্রম দক্ষতা এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সমাজ প্রতিষ্ঠান বা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন। তারা প্রতিটি অর্থনৈতিক সামাজিক এবং শিল্পক্ষেত্রের ভিত্তি এবং প্রগতি ও সমৃদ্ধির মূল শক্তি। কর্মীদের ভূমিকা দায়িত্ব এবং প্রভাব সমাজে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি কেবল অর্থনীতি ক্ষেত্রে নয় সামাজিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রথমত, কর্মীরা একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল স্তম্ভ। একজন দক্ষ কর্মী তার কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান এবং দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যিক খ্যাত কর্মীদের পরিশ্রম ও দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয় এবং বাণিজ্যিক লাভ অর্জিত হয়ে থাকে। কর্মীদের শ্রম ও নিষ্ঠা ছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না এটি কল্পনা করাও অসম্ভব।
দ্বিতীয়তঃ কর্মীরা সমাজের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। কর্মীরাই পরিবার ও সমাজের ভিত্তি শক্তিশালী করেন। তাদের আয় ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব ফেলে থাকে। কর্মীদের আয়ের ওপর নির্ভর করে তাদের পরিবারগুলো শিক্ষা স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ হয়। সমাজের প্রতিটি স্তরে কর্মীদের অবদান একটি সুস্থ ও সংবিধান গঠনের সহায়ক।
তৃতীয়ত, কর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা করা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীরা সমাজের জন্য অপরাজ্য হলেও অনেক সময় তাদের অধিকার স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়টি অবহেলিত হয়ে পড়ে। গর্বিতের জন্য উপযুক্ত কাজের পরিবেশ সঠিক মজুরি এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন।