পরিশ্রম এমন একটি গুণ যা মানুষকে তার জীবনের সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করে। এবং সমাজে একটি স্থিতিশীল অবস্থান গড়ে তুলতে সড়ক হয়। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কোন অর্জন সম্ভব নয়। পরিশ্রময় মানুষকে নিজের দক্ষতা ও মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেয় এবং তাকে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির অর্জন সাহায্য করে থাকে। এটি কেবল ব্যক্তিগত সাফল্যের পথই খুঁজলে দেয় না বরং সামগ্রিক সমাজ এবং দেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রথমত, পরিশ্রম মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের উন্নতির মূল চাবিকাঠি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিশ্রমের গুরুত্ব ও অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থী যদি পরিশ্রমী হয় তবে সে তার পড়াশোনা সফলতা অর্জন করতে পারবে। কর্মজীবনে পরিশ্রম একজন কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং তাকে তার কর্মক্ষেত্রে সফল হতে সাহায্য করে থাকে। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কখনোই পবিত্র ক্ষেত্রে সফল অর্জন করা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়তঃ পরিশ্রম সমাজের উন্নয়নের অপরিহার্য। একটি দেশের উন্নতি তার নাগরিকের পরিশ্রমের ওপর নির্ভরশীল। কৃষক শ্রমিক শিক্ষক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে পরিশ্রমের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখেন। পরিশ্রমের মাধ্যমে নতুন আবিষ্কার উদ্ভাবন এবং শিল্পের উন্নতি ঘটে যা সামগ্রিকভাবে সমাজের অগ্রগতি নিষ্ঠিত করে থাকে। পরিশ্রমের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।
তৃতীয়ত, পরিশ্রম মানুষের চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিশ্রমী মানুষ ধৈর্য সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। এটি মানুষের মধ্যেও শৃঙ্খলা এবং নিয়মমন্যুবর্তিতা তৈরি করে যা তার ব্যক্তিত্বকে সমৃদ্ধ করে। পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে সফল হবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়ে থাকে।