সুরক্ষা মানুষের জীবনের একটি মৌলিক প্রয়োজন। একটি ব্যক্তি পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের জীবনে স্থিতিশীলতার শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। সুরক্ষা মানে কেবল শারীরিক সুরক্ষায় নয় এটি মানসিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষা কেউ অন্তর্ভুক্ত করে। সুরক্ষার অভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা অস্থিরতা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে যা ব্যক্তিগত ও সমস্টিক জীবনের উপর গভীর নীতিবাচক প্রভাব ফেলে। সুতরাং সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তা প্রতিটি স্তরে অপরিহার্য।
প্রথমত, শারীরিক সুরক্ষা মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য। এটি একজন ব্যক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে তার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে এবং জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করে থাকে। শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যেমন ভাল খাদ্য নিরাপদ পরিবেশ স্বাস্থ্যসেবা এবং সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা অন্তত জরুরি। তাছাড়া ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ যা অপরাধ সহিংসতা এবং অন্যান্য ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষা করে থাকে।
দ্বিতীয়তঃ মানসিক সুরক্ষা ব্যক্তির মানসিক স্থিতিশীলতা ও শক্তির জন্য অপরিহার্য। এটি মানসিক চাপ উদ্বেগ এবং হতাশা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মানসিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পরিবার ও সমাজের সমর্থন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সুস্থ সম্পর্ক অপরিহার্য। একটি সুস্থ মানসিক অবস্থা একজন ব্যক্তিকে তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনের সহায়ক হয় এবং তাকে আত্মবিশ্বাসও করে তোলে।
তৃতীয়ত, সামাজিক সুরক্ষা সমাজের শান্তি এবং শৃঙ্খলা বোঝায় রাখতে সাহায্য করে থাকে এবং এটি সমাজের জন্য অপরিহার্য। সমাজের সমতা ন্যায় বিচার এবং আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। সামাজিক সুরক্ষার অভাবে সমাজে অস্ত্রতা বিশৃঙ্খলা ও অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করে থাকে।