কঠোরতা মানুষের একটি মৌলিক গুণ যা তাকে জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দৃঢ় থাকতে সাহায্য করে। এটি শুধু শারীরিকভাবে কঠিন হওয়া বিষয় নয় বরং এটি মানসিক নৈতিক এবং আবেগগত দ্রুততার প্রতিফলন। কঠোরতা আমাদের সঠিক পথে থাকতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং জীবনের সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করে থাকে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষত কঠিন সময়ে কঠোরতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম এই বোনটি মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে এবং তাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে থাকে।
প্রথমত, কঠোরতা আমাদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে একটি অপরিহার্য গুণ। জীবনে বড় কোন লক্ষ্য অর্জন করতে হলে তার জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় মনোবল প্রয়োজন। কঠোরতা ছাড়া আমরা জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং বাধা অতিক্রম করতে পারি না। যারা জীবনে বড় কিছু অর্জন করেছেন তারা কঠোর পরিশ্রম এবং দ্রতার মাধ্যমেই তা অর্জন করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে মহাত্মা গান্ধী কিংবা নেলসন ম্যান্ডেলার মতো নেতারা কঠোর সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছেন।
দ্বিতীয়ত, কঠোরতা আমাদেরকে প্রতিজ্ঞতা মোকাবেলার জন্য সাহায্য করে থাকে। জীবনের পথে প্রতিফলন আসবে কিন্তু সেই প্রতিকূলতার সামনে মাথা নত করা যাবে না যেভাবে দাঁড়ানোই হলো কঠোরতার প্রকৃত পরিচয়। একজন কঠোর মানসিকতার অধিকারী ব্যক্তির প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়ে না বরং তিনি সেই পরিস্থিতিকে অতিক্রম করার জন্য শক্তি খুঁজে পান এবং এগিয়ে যান। কঠোরতা আমাদের আত্মবিসের বৃদ্ধি করে এবং সংকটম্ন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে থাকে।
তৃতীয়ত, কথাটা মানুষের নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে দৃঢ় করে থাকে। জীবনে অনেক সময় প্রলোভন এবং অর্থনৈতিক প্রস্তাব আসতে পারে। একজন কঠোর চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি সেই প্রলোভন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে এবং সঠিক পথে চলার সংকল্প বজায় রাখতে পারে। নৈতিক কঠোরতা আমাদেরকে সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করতে শেখায় এবং জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতার প্রমাণ দেয়। কঠোর নৈতিকতা এবং মৌলবাদের ভিত্তিতে একটি সমাজ গঠিত হয় যা সেই সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।