ফারাক্কা বাঁধ যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য বিতর্কের একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রয়ে গেছে। এ বাঁধের মাধ্যমে গঙ্গার জল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয় যা প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। সম্প্রীতি ফারাক্কা বাঁধের ১০৯ টি গ্রেট খোলার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন পরিস্থিতি যা বাংলাদেশের জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে।
ফারাক্কা বাঁধের পটভূমি:
১৯৭৫ সালে ভারত সরকার ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে থাকে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কলকাতা বন্দরের অবনতি রোধ করা এবং নদীর নাবতা বজায় রাখা। তবে বাঁধের ফলে গঙ্গার জল প্রবাহে পরিবর্তন ঘটে যা বাংলাদেশের নদীগুলোতে পানির অভাব মাঠের ক্ষয় এবং পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করে।
১০৯ টি গেট খোলার প্রভাব:
ফারাক্কা বাঁধের ১০৯ টি গেট খোলা হলে বাংলাদেশের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমীর এই গেট গুলো খোলা হলে হঠাৎ করে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রবাহিত হয় যা বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চল এবং মধ্য অঞ্চলের ব্যাপক বর্ণনা সৃষ্টি হতে পারে। এই বন্যার ফলে ফসলের প্রতি ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং মানুষের জীবনযাত্রার বিপন্ন হয়। এছাড়া জলবদ্ধতার কারণে দীর্ঘ মেয়াদে জমির উর্বরতা কমে যায় এবং কৃষকেরা মারাত্মকভাবে সংকটের মধ্যে পড়ে যায়।
পরিবেশগত প্রভাব:
ফারাক্কা বাদের ১০৯ টি গেট খোলার কারণে বাংলাদেশের নদী গুলোর পানির পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি ঘটে যা নদীগুলোর প্রাকৃতিক প্রভাব এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বিঘ্ন ঘটায়। বিশেষ করে নদীর তীরে বসবাস করে জীব বৈচিত্র্যের ওপর এর নীতিবাচক প্রভাব পড়ে। পানি প্রবাহের সাথে সাথে বিভিন্ন দূষণ করে পদার্থের মধ্যে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশের জলস পরিবেশের জন্য হুমকি শুরু হয়ে পড়ে।