শুক্রবার ( ২৩ আগস্ট) লাইফবোটে করে বন্যাদুর্গত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, চার দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে নদীগুলোর পানি উপচে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে যা বলল ভারত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সুমন দেব জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কমে যাওয়ার পর শনিবার সকাল পর্যন্ত বেশিরভাগ নদীই বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে রাজ্যের প্রধান গোমতী নদী যা প্রতিবেশী বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তা এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান দেব।
বাস্তুচ্যুত মানুষরা ৪৫০টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই বন্যায় প্রায় ১৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অবকাঠামো, ফসল এবং গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
একজন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বেশিরভাগ মৃত্যু ভূমিধসের কারণে হয়েছে। তাছাড়া মাটির নিচে চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের ৮০ জনেরও বেশি কর্মী উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন:ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেকে
এদিকে বাংলাদেশে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোমতী একটি বাঁধ ভেঙ্গে অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
রাজধানী ঢাকায় চলতি সপ্তাহে কেউ কেউ অভিযোগ করে ভারতের ত্রিপুরার গোমতীর উপর ডুম্বুর বাঁধের স্লুইস গেট খোলার কারণে এই বন্যা হয়েছে। তবে এমন দাবি সঠিক নয় বলে নয়াদিল্লি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে বাংলাদেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩-তে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মতে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে বন্যায়।