বন্যায় আসন্ন ঝুঁকির মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এর প্রভাবকে প্রশমিত করার জন্য কয়েকটি সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছিল। সরকার সশস্ত্র বাহিনী এবং নৌ বাহিনীকে বিপর্যয় মোকাবিলায় স্থানীয় জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং ত্রাণ সরবরাহের জন্য মোতায়েন করেছে। স্পিডবোট এবং হেলিকপ্টার বন্যার জলের আটকা পড়াদের রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষ করে দুর্গম এবং কঠোর-আক্রান্ত অঞ্চলে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাস্তুচ্যুত জনগণের থাকার জন্য শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে, পাশাপাশি তাদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছে। প্রশংসনীয় ভাবে স্বেচ্ছাসেবক এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া মোকাবিলার পাশাপাশি, বাংলাদেশ বন্যার ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের দিকে মনোনিবেশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বেড়িবাঁধগুলোকে শক্তিশালী করা, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করা এবং আসন্ন বন্যার বিষয়ে সর্বসাধারণকে সতর্ক করার জন্য আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা। জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল জনগণকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সরিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষিত করার জন্য।
বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য তহবিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথেও সহযোগিতা করেছিল। এই প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতের বন্যার প্রতি দেশের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো এবং এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিধ্বংসী প্রভাব কমিয়ে আনা।
সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের সাথে জরুরী প্রতিক্রিয়াকে একত্রিত করে, যা বন্যার পুনরাবৃত্তির হুমকি থেকে তার জনগণ এবং অবকাঠামোকে রক্ষা করার জন্য জাতির প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।