অন্য মানব সভ্যতার প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু গুলির মধ্যে একটি। হাজার বছর ধরে স্বর্ণতার উজ্জ্বলতা স্থায়িত্ব এবং বিরলতার জন্য অন্তত মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এটি কেবলমাত্র অর্থনৈতিক সম্পদ নয় বরং সাংস্কৃতিক ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধেরও একটি প্রতীক।
স্বর্ণের ঐতিহাসিক ভূমিকা:
স্বর্ণের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা থেকে শুরু করে ইন্দাস ভ্যালি সভ্যতা সবখানে স্বর্ণের ব্যবহার পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে স্বর্ণকে দেবতাদের উপাসনার জন্য ব্যবহৃত হতো এবং রাজকীয় মর্যাদা প্রতি হিসেবে বিবেচিত হতো।
বিভিন্ন সভ্যতার স্বর্ণকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীন মিশরীয় রোমান গ্রীক এবং ভারতীয় সভ্যতার স্বর্ণের মুদ্রা প্রবর্তন করা হয়েছিল। স্বর্ণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সর্বোচ্চ স্তর হয়ে উঠেছিল এবং এটি অর্থনৈতিক বিনিময়ের একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে।
স্বর্ণের অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
স্বর্ণ তোর অর্থনৈতিক মূল্য ও স্থিতিশীলতার জন্য পরিচিত। এটি বিনিয়োগের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।
১. বিনিয়োগের মাধ্যম: স্বর্ণ একটি নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ মাধ্যম একট মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সময়ে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। যখন অন্যান্য বিনিয়োগ মাধ্যম জীবন শেয়ার বাজারে পতন ঘটে তখন স্বর্ণের মূল্য সাধারণত বৃদ্ধি পায় যা বিনিয়োগকারীদের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।
২. অর্থনৈতিক সঞ্চয়: অনেক মানুষ স্বর্ণকে দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এটি সঞ্চয়ের মূল্য কে বজায় রাখতে এবং সময়ের সাথে সাথে তার মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩. বৈদেশিক মুদ্রা ও রিজার্ভ: অনেক দেশ তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ হিসেবে স্বর্ণ সংরক্ষণ করে রাখে। এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বৈশ্বিক মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে এক ধরনের নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।