বর্ষাকাল মানেই কদম ফুল। এসময় প্রকৃতি সাজে কদম ফুল দিয়ে। এজন্য হয়তো কবি সাহিত্যিকরা কদম ফুলকে বলে "বর্ষার দূত ।" কদম ফুলের রয়েছে একাধিক শ্রুতিমধুর নাম। তার মধ্যে হলো বৃত্তপুষ্প, মেঘাগমপ্রিয়, কর্ণপূরক, পুলকি, ললনাপ্রিয়, সুরভি, সিন্ধুপুষ্প নামেও ডাকা হয়।
কদম গাছের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো অঞ্চলে কদম ফুল তরকারি হিসেবে রান্না করেও খাওযা হয়। কদম গাছের কাঠ দিয়ে দিয়াশলাই তৈরি করা হয়ে থাকে।
কদমের পাতা ও ছাল ব্যথানাশক। কদমের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবেও উপকারী। প্রচলিত লোকজ ব্যবহারে কৃমি ও ব্যথা সারাতে কদমের বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্রে পায়ের তালু জ্বলা, ব্রণসৃষ্ট ক্ষত ইত্যাদি রোগে কদমের ব্যবহার প্রচলিত ছিল। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কদমফুল পানিতে সেদ্ধ করে সে পানি দিয়ে কয়েকবার কুলি করলে সেরে যায়।
শিশুদের কৃমি সারাতে কদমপাতার গুঁড়া পরিমাণমতো খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। শিশুদের মুখের ঘা সারাতে কদমপাতার সেদ্ধ পানি মুখে ধারণ করলে অতিদ্রুত ঘা সেরে যায়।