এবছর (২০২৪ সালে) বাংলাদেশ অতীতের চেয়ে আরো ভয়াবহ বন্যার মুকাবিলা করছে। ভৌগোলিক ভাবে দেশটি একটি চ্যালেঞ্জিং ল্যান্ডস্কেপকে অবস্থিত। তারপরও একটি প্রশ্ন রয়ে যায়, 'কেন প্রায় প্রতিবছরই দেশটি বন্যার কবলে পরে?'। বাংলাদেশে বন্যা বিভিন্ন কারণে ঘটে থাকে, এখানে কিছু কারণ বর্ননা করা হয়েছে...
- মৌসুমী বৃষ্টি: জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বর্ষা বন্যা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তীব্র বৃষ্টিপাত নদী ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে।
- নদী উপচে পড়া: বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনার মতো প্রধান নদী অতিক্রম করেছে। এই নদীগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই উপচে পড়ে, যার ফলে ব্যাপক বন্যা হয়।
- নিম্ন ভূ-সংস্থান: বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটারেরও কম উচ্চতায় অবস্থিত, এটি বন্যার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।
- ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস: উপকূলীয় অঞ্চলগুলি প্রায়শই ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়, যা জলোচ্ছ্বাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে, এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা হয়।
- হিমালয়ের গলিত জল: হিমালয় থেকে গলে যাওয়া জল বাংলাদেশের নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা জলের পরিমাণকে বাড়িয়ে তোলে এবং বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
- বন উজাড়: উজানের অঞ্চলে বন উজাড় করলে জমির পানি শোষণের ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- নগরায়ণ: দ্রুত নগরায়ণ দুর্ভেদ্য পৃষ্ঠের উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করেছে, প্রাকৃতিক নিষ্কাশন হ্রাস করেছে এবং শহুরে বন্যার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
এই কারণগুলি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে মিলিত হয়ে, বাংলাদেশকে বিশেষ করে ঘন ঘন এবং মারাত্মক বন্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।