জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে পৃথিবীর সর্বত্র আজ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশও তা থেকে মুক্ত নয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে বাংলাদেশে পরিবেশ ও জীবনযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে ।
বিশ্বে ব্যাপক হারে নগর গড়ে উঠেছে। মানুষ কাজের খোঁজে শহরে ছুটছে। ফলে শহরে জনসংখ্যার চাপ ও বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এসব যানবাহনের কালো ধোঁয়া, শিল্প-কারখানার কালো ধোঁয়াও নগরের বায়ুতে কার্বনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এটিও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির একটা কারণ।
জমিতে সেচ, নাইট্রোজেন সার, কীটনাশক প্রভৃতি ব্যবহারের কারনে বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর ক্ষতি হয়। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহে সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ে। আর সমুদ্রের লবণাক্ত পানির প্রভাবে পাছপালা, মৎস্যখামার ও শস্যক্ষেতের ক্ষতি হয়। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। জমির উর্বরাশক্তি কমে গেছে। এ কারণে এসব অঞ্চলে কৃষি উৎপাদনও কমে গেছে। অনেক রকম মিঠা পানির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।সমুদ্রের পানি বৃদ্ধির কারণে জলোচ্ছ্বাসের আকার ধারণ করে ।
তাই প্রয়োজন উষ্ণায়নের কারণ ও এর প্রভাব চিহ্নিত করে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করা। এখনই এ ব্যাপারে সঢেতন না হলে এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে রেখে যেতে হবে এক ভয়াবহ উষ্ণায়ন বিপর্যয়ের মুখে।