বাস্তব জীবনের গল্প

বাস্তব জীবনের গল্প

কোন এক গ্রামে রাজু নামের একটি ছেলে বাস করত।সে ছিল পেশায় সাংবাদিক। তার বাড়ির পাশের বাড়িতেই বাস করত রুমানা নামের একটি মেয়ে। একদিন ছেলেটি রাস্তা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিল সেই সময় মেয়েটিও স্কুলে যাচ্ছিল।

 

 তখন মেয়েটি ঐ ছেলেটির ছোখে পরে। ছেলে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু মেয়েটি লজ্জায় একেবারে লাল হয়ে গেছে একবার থাকায় ছেলের দিকে আরেকবার থাকায় তার সামনের দিকে।

 

এভাবে থাকতে থাকতে মেয়েটির স্কুল পর্যন্ত চলে আসে তখন মেয়েটি স্কুলের বিতর ডুকে পরে আর ছেলেটি ছলে যায় বাজারে। ছেলেটি প্রতিদিনের মতো একি সময়ে বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা দেয় ঐরাস্তা দিয়ে কিন্তু, মেয়েটিকে দেখতে পায়না।

 

এভাবে তিন, চার দিন কেটে যায় ছেলেটি চিন্তায় পরে যায় কি হলো মেয়েটির। এদিকে মেয়েটি লজ্জায় স্কুলে যায়নি তিন, চাররদিন পর্যন্ত সে ভাবল একটি ছেলে আমার দিকে তাকিয়েছে মাত্র, এজন্য কি আমি স্কুল ফাকি দেব? না,না এ হতে পারেনা।

 

মেয়েটি আবার স্কুলে যাওয়া শুরু করল। পরদিন যখন মেয়েটি স্কুলে যাচ্ছিল তখন দেখে ছেলেটিও যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো আজও ছেলেটি থাকিয়ে আছে মেয়ের দিকে । ছেলেটির সাতে ছিল তার এক বন্ধু মেয়েটিকে খোচা দিয়ে কতা বলতে শুরু করল ছেলেটি। এভাবে প্রতিদিন ডিস্টাব করে ছেলেটি মেয়েটিকে। প্রায় এক সপ্তাহ চলে যায় এভাবে ।

 

 এক সপ্তাহ পর ছেলেটি একটা কাজের জন্য ঢাকায় চলে যায়।রুমানা প্রতিদিন স্কুলে যায় আর এদিক ওদিক তাকায় কিন্তু ছেলেটিকে দেখতে পায়না।এভাবে কেটে যায় আরো এক সপ্তাহ। ছেলেটির প্রতি মেয়েটির ভলবাসা জন্মাতে থাকে।

 

সে খোজ নিতে লাগল ছেলেটি কোথায় থােক, কি করে, কি হয়েছে তার পরে জানতে পারল রাজু ঢাকা গেছে । রাজু ঢাকা থেকে ফিরে এসে মেয়েটিকে তার ভালবাসার কতা বলল। রুমানা বলল পড়ে জানাবো ভেবে দেখতে হবে। পরে উত্তর দিল আমি তোমাকে ভালবাসি।মাঝে মাঝে রাজু চুপি চুপি দেখা করতে যায় রুমানার বাড়িতে।

 

এভাবে চলতে থাকে তাদের ভালবাসা প্রায় চার বছর।কিন্তু হটাৎ করে তাদের জীবনে এক ঝড় নেমে আসে। মেয়ের মা-বাবা জেনে যায় তাদের ভালবাসার কথা।মেয়ের মা-বাবা ভাবল ছেলেটিকে একটা শিক্ষা দেয়া যাক।রুমানার এক চাচাত বোন ছিল তাকে দিয়ে তার চাচা ফোন করালেন বললেন,

 

বল রুমানা আপনার সাতে দেখা করতে চায় আমাদের বাড়িতে।আপনাকে আসতে বলেছে রাজু, রুমানার চাচাত বোনের কথামতো আসবে বলছে। রুমানা তখও বিষয়টা জানতে পােরনি।পরে যখন জানল তখন তার কিচ্ছু করার মতো ছিলনা।

 

রাজু প্রায় বাড়ির কছাকাছি এসে হাজির। এদিকে রুমানার বাবা,চাচা রাজুকে মারার জন্য তৈরি হয়ে আছে।তখন রাত প্রায় ১১টা থেকে ১২ট হবে রাজু যখন বাড়িতে ডুকল তখনি রাজুকে সবাই মিলে মারদর শুরু করল।রাজু পালানোর চেষ্টা করলেও পালাতে পারেনি।

 

রাজুকে এমন মার মারল এক মাস পর্যন্ত হাসপাতালে ছিল রাজু।রাজু সুস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে এসে জানতে পারে পুরো ঘটনা।এখন আপাতত দুজনের মধ্যে কোন দেখা-সাক্ষাৎ হয়না।

 

তবে রুমানা বলেছে রাজুর কাছে বিবাহ না দিলে জীবনে বিবাহ করবে না। রাজু সাংবাদিকতা নিয়ে ব্যাস্ত। রুমানা কলেজে পড়ে, তার বাবা কলেজে নিয়ে জান আবার নিয়ে আসেন।


Juboraj Hajong

15 Blog posts

Comments