প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা ছিল একটি উল্লেখযোগ্য ও প্রভাবশালী সভ্যতা, যা প্রায় ৮ম থেকে ৪র্থ শতাব্দী খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। গ্রিসের ভৌগোলিক অবস্থান, বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকাগুলো, তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল। এ সভ্যতায় শহর-রাষ্ট্র বা পোলিস ছিল প্রধান সামাজিক কাঠামো, যার মধ্যে এথেন্স ও স্পার্টা সবচেয়ে বিখ্যাত।
প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা দার্শনিক চিন্তা, শিল্পকলা, এবং বিজ্ঞান ও গণিতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। সক্রেটিস, প্লেটো, ও অ্যারিস্টটল প্রাচীন গ্রিসের তিনজন মহান দার্শনিক, যাঁদের চিন্তাধারা পশ্চিমা দর্শনের ভিত্তি রচনা করেছে। এথেন্সে গণতন্ত্রের উদ্ভব হয়েছিল, যা পরবর্তীতে আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া, গ্রিক স্থাপত্য, বিশেষত পার্থেনন মন্দির, এবং নাট্যশিল্পের ধারা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। গ্রিক পুরাণও তাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত ছিল, যা আজও শিল্প ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এই সভ্যতার অর্জনগুলি এখনও বিশ্ববাসীকে প্রভাবিত করে এবং পশ্চিমা সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।