এক যে ছিল চাষী। তার অনেকগুলি ছেলে ছিল। আর ছেলেরা সকল সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করত। এতে চাষীর মনে খুব দুঃখ হতো। চাষী এ ব্যাপারে ছেলেদের অনেক বোঝাতো এবং মাঝে মাঝে বকাঝকাও করত।
কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না । কোনো পরিবর্তন হল না ছেলেদের। এদিকে চাষী একদিন বৃদ্ধাবস্থায় উপস্থিত হল। চাষী তখন একদিন অনেক ভেবেচিন্তে ছেলেদেরকে বলল তোরা যে কয়জন আছিস সবাই মিলে এক একটা কঞ্চি এনে তাই দিয়ে একটা আঁটি বেঁধে আন্ তো আমার কাছে।
বাবার কথায় ছেলেরা প্রত্যেকেই কঞ্চি যোগাড় করে তাই দিয়ে একটা আঁটি বেঁধে আলো । এবার চাষীটি তার ছেলেদের বলল এখন তোরা প্রত্যেকে এককভাবে এই আঁটিটা ভাঙতে চেষ্টা কর দেখি। কে পারিস আগে? বাবার কথায় ছেলেরা একে একে সেই কঞ্চির আঁটিটা ভাঙতে চেষ্টা করল।
কিন্তু কেউই আঁটি ভাঙতে পারল না। বাবা এবার ছেলেদের বলল এবার খুলে ফেলতো আঁটিটা। আর প্রত্যেকেই এক-একটি কঞ্চি হাতে নে। বাবার কথায় এবার ছেলেরা আঁটি খুলে প্রত্যেকেই একটি করে কঞ্চি বার করে নিল ।
চাষীটি এবার বলল এখন নিজের নিজের হাতের কঞ্চিটা ভেঙে ফেলত । এই কথা শোনা মাত্রই ছেলেরা প্রত্যেকে নিজের নিজের হাতের কঞ্চি পটাপট করে ভেঙে ফেলল । চাষী এবার তার ছেলেদের উদ্দেশ্যে বলল দেখলি তো তোরা যদি এমন মিলে-মিশে একজোট হয়ে থাকিস তাহলে
কোনো শত্রুই তোদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না । আর যদি তোরা পরস্পর কেবলই ঝগড়া-বিবাদ করিস, আলাদা হয়ে থাকিস, একের বিপদে অন্য সবাই তাকে সাহায্য না করিস, তাহ’লে এবার বুঝতেই তো পারছিস্ কেমন করে শত্রুর দল তোদের ঘায়েল করে দেবে।