মানুষের মতো মানুষ হয়ে পিতা-মাতার মুখ উজ্জ্বল করা সন্তানের অন্যতম কর্তব্য। সন্তান যদি সুশিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সমর্থ হয় ও সুনাম অর্জন করতে পারে, তবে পিতামাতা সবচেয়ে বেশি সুন্তুষ্ট হন এবং গৌরববোধ করেন।
পিতা-মাতার সন্তান হিসেবে প্রত্যেক ছেলেমেয়ের মনে রাখা উচিত, যেহেতু বাবা মা সবসময় সুখে-দুঃখে, বিপদে আপদে সর্ব অবস্থায় তাদের কল্যাণ কামনা করেন, সেহেতু তাদের উচিত পিতামাতার উপদেশ নির্দেশ মেনে চলা।
আমরা কিন্তু অনেক সময় পিতা-মাতার আদেশ নির্দেশ পালন করি না। বরং কখনো কখনো তাঁদের উপদেশের বিপরীত কাজ করে থাকি। এতে পিতামাতা যে কতটা মানসিক কষ্ট ভোগ করেন তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি? সন্তানের অপরিণত বুদ্ধিই পিতা-মাতার কষ্ট ভোগের কারণ হয়।
সন্তানের বয়স কম থাকলে পিতা-মাতার নির্দেশ ও উপদেশ পালনের মাধ্যমেই তারা নির্ভুল পথে চলতে পারে। সন্তান ছোট হোক, বড় হোক, বুদ্ধিমান কিংবা বুদ্ধিহীন হোক, পিতামাতা সব সময় তার মঙ্গল কামনা করেন।
সন্তান যদি পিতা-মাতার উপদেশ ও নির্দেশ মেনে চলে তবে সেটা যেমন সন্তানের জন্য মঙ্গলজনক তেমনি সমাজের জন্যও কল্যাণকর।