বীরপুরুষ হল সেই ব্যক্তি যিনি সাহসিকতা ন্যায় বোধ এবং ত্যাগের মাধ্যমে সমাজের জন্য এক অসাধারণ অবদান রেখে যান। তিনি অন্যের কল্যাণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পিছপা হন না এবং জীবনের কঠিনতম পরিস্থিতিতেও আদর্শ ও নৈতিকতার পথে অটুট থাকেন। বীরপুরুষের সাহসিকতা শুধু শারীরিক শক্তির ওপর নির্ভর করে না বরং তার অন্তর্নিহিত নৈতিকতা আদর্শ এবং ন্যায় বোধের ওপর নির্ভর করে থাকে।
বীরপুরুষের গুণাবলী:
সাহসিকতা, বীরপুরুষের অন্যতম প্রধান গুণ হলো তার সাহসিকতা। তিনি যেকোন বিপদ বা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পিছুপা হন না। তার এ সাহসিকতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে এবং সমাজের প্রতিটি অন্যান্য স্থান দেয়। যুদ্ধক্ষেত্রে একজন সৈনিকের সাহসিকতা যেমন একটি জাতির গৌরব তেমনি একজন বীরপুরুষের সাহসিকতা একটি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
ন্যায়বোধ:
বীরপুরুষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো তার ন্যায়বোধ। তিনি সত্যের পথে অটুট থাকেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তার ন্যায়বো তাকে সমাজের একজন ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বধ এবং আদর্শের জন্য তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।
ত্যাগ:
বীরপুরুষ কখনো নিজের স্বার্থের কথা ভাবেনা তিনি সবসময় সমাজের এবং মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন। ত্যাগের মাধ্যমে তিনি সমাজের প্রতিটি উদাহরণ সৃষ্টি করেন। তার এই ত্যাগের গুণাবলী সমাজের অন্যান্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশের স্বাধীনতা জন্য লড়াই করেছেন।