কোনো পণ্যের ওপর কালো রঙের আবরন থাকে । কমবেশি আমরা সবাই দেখেছি ।এটি কিউআর কোড (QR Code) নামে পরিচিত। এর মধ্যে লুকানো থাকে বিভিন্ন তথ্য, ম্যাসেজ, নাম্বার ইত্যাদি। এই ইনফরমেশন গুলো খালি চোখে দেখা যায় না । কিন্তু আমাদের হাতের যদি একটি স্মার্টফোন বা QR code স্ক্যানার থাকে তাহলে ওই আবরনে কি তথ্য দেয়া হয়েছে তা সহজেই পড়তে পারা যায় ।
QR Code এর পূর্ণরূপ Quick Response Code .এটি মূলত সিক্রেট কোড ,তাই তথ্য আদান-প্রদান করতে পারেন। সবার হাতেই স্মার্টফোন? আছে যার ফলে আমরা যদি কোনো সেবা বা পণ্য সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে কোডটি স্ক্যান করলে সহজে তা জানা সম্ভব । পণ্যটি আপনার জন্য উপযোগী কি না তাও জানতে পারবেন।
এই কোডটির বিভিন্ন রকমের সুবিধা রয়েছে । আমরা যখন বিকাশে কিংবা নগদে টাকা লেনদেন করতে যাই তখন আমাদের অনেক কিছু টাইপ করতে হয় , অনেক সময় ভুল নাম্বার টাইপ করি । কিন্তু কিউআর কোড স্ক্যান করলে তা দ্রুত করা যায় এতে আমাদের সময় এবং ঝামেলা দুটোই কমে ।শুধু টাকা আদানপ্রদানই নয়, আরও নানা কাজ যেমন রেস্তরাঁর মেনু, ট্রেন, বিমানের টিকিট কেনা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয় এই কিউআর কোড।
এটি একটি ওপেন সোর্স । এটি ব্যবহার করতে কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে না । আপনি চাইলে যেকোন তথ্য কাউকে কিউআর কোড এর সাহায্যে দিতে পারেন । তবে সেটা তখন্ই পড়া যাবে যখন তা স্ক্যান করা হবে ।