মনোভাব হল মানুষের মানসিক অবস্থা এবং অনুভূতির এক মৌলিক প্রকাশ। এটি আমাদের চিন্তা আচরণ এবং সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এবং জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে থাকে। মনোভাব কেবলমাত্র একটি ভাবনা বা অনুভূতি নয় বরং এটি আমাদের জীবনের মূল্য তালিকা শক্তি যা আমাদের সিদ্ধান্ত এবং কর্ম প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে থাকে।
মনোভাবের প্রকৃতি এবং প্রভাব অন্তত গভীর। একজন মানুষের মনোভাব তার ব্যক্তিত্বের একটি অঙ্গ এবং এটি তার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের উপর সুস্পষ্টভাবে ফেলে। একটি ইতিবাচক মনোভাব মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে সাহসী করে তোলে। এটি সমাজে সফলতা অর্জনের পেছনে একটি শক্তিশালী শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে কারণ এটি তাকে লক্ষ্য অর্জনের পথে নিরন্তর উজ্জীবিত করে।
অপরদিকে একটি নেতিবাচক মনোভাব মানুষের জীবনকে সম্মানের এবং সীমাবদ্ধ করে দিতে পারে। এটি সাধারণত হতাশা নিন্দা এবং অশান্তির দিকে নিয়ে যায় যা ব্যক্তির কর্মক্ষমতা এবং সম্পর্কে প্রভাবিত করে থাকে। নীতিবাচক মনোভাবের কারণে মানুষ নিজের ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাসী হতে পারে এবং তার সম্ভাবনা অপূর্ণ থাকে।
মনোভাবের পরিবর্তন আমাদের জীবনের গুণগণ্য মান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। একটি ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণের মাধ্যমে আমরা জীবনে প্রতিটি পরিস্থিতিকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে শিখি। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে কোন কঠিন পরিস্থিতি যদি আমাদের শিক্ষা এবং উন্নতির সুযোগ করে দেয় বা হিসেবে দেখা দেয় তবে আমরা সেই পরিস্থিতির সাথে আরও ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারব।