প্রকাশ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে চিন্তা অনুভূতি এবং ধারণা সৃজনশীল ভাবে প্রকাশ পায়। এটি মানুষের অভ্যন্তরীণ জগতের বাইরে আসার এক সমাজের কাছে নিজেকে তুলে ধরার একটি উপায়। প্রকাশের মাধ্যমে হিসেবে সাহিত্য শিল্পকলা মিডিয়া এবং অন্যান্য সৃজনশীল উপায় ব্যবহৃত হয় যা আমাদের চিন্তার গভীরতা এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়।
প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতিগুলো বাহ্যিকভাবে অগ্নিপিত করে থাকি। একজন লেখক তার কাব্য প্রবন্ধ ও গল্পের মাধ্যমে তার অনুভূতি এবং চিন্তা প্রকাশ করে থাকেন
একজন শিল্পী তার চিত্রকর্ম ভাস্কর্য বা ডিজাইনের মাধ্যমে শিল্পের ভাষায় কথাটি বলেন। এই প্রকাশের মাধ্যম গুলো আমাদের জীবন সমাজ এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এবং আমাদের চিন্তাধারার প্রসারিত করে থাকে।
প্রকাশের গুরুত্ব সহজে ব্যাপক। এটি সমাজের সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের পরিচয়ক। সাহিত্য সংগীত এবং শিল্প সমাজের ইতিহাস এবং বর্তমান বাস্তবতার একটি প্রতিচ্ছবি। এই প্রকাশের মাধ্যমে মানুষ সমাজের সমস্যা ও সংস্কৃতি পরিবর্তন এবং মানুষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তুলে ধরতে পারে। একটি সমাজের সংস্কৃতিক গভীরতা এবং তার পরিবর্তনের গতিপথ বুঝতে হলে প্রকাশের মাধ্যমগুলি অন্তত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হয়।
সামাজিক মিডিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তির যুগে প্রকাশের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এখন মানুষটা চিন্তা অনুভূতি দ্রুত এবং বিস্তৃতভাবে শেয়ার করতে পারে। সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো একদিকে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ায় অন্যদিকে এটি অনেক সময় ভুল তথ্যের উৎসাহ হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা ও দায়িত্ববোধ বজায় রাখা জরুরী।