নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ । অসংখ্য নদী-নালা বয়ে গেছে বাংলাদেশের বুকে । নদীর পাড়ের মানুষের জনবসতি যদিও বা ঝুঁকিপূর্ণ তারপরও প্রকৃতি যেন তার সবটুকু দিয়ে সাজিয়েছে । নদীর কোল ঘেঁষে রয়েছে কত বাড়ি , গ্রাম । নদীর ধারে বসে সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ কয়জনই বা হয় ! নদ-নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতার ইতিহাস। দেশের কৃষিকাজ, পানি বিদ্যুৎ, পানি সেচ ব্যবস্থা পানিপথ পরিবহন, পানীয় জলের জোগান, মৎস্য উৎপাদন, শহর ও শিল্পকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় পানি সরবারহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে নদ-নদীর গুরুত্ব অপরিসীম।
বাংলাদেশের নদীগুলো হলো মেঘনা, যমুনা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা, তিতাস ,ধরলা প্রভৃতি । নদী প্রায়শই অভ্যন্তরীণ অঞ্চলগুলিকে উপকূলীয় অঞ্চলগুলির সাথে সংযুক্ত করে ।নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলোকে উর্বর করে তোলে এবং বন্যা থেকে রক্ষা করে। নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে জনবসতি গড়ে ওঠে এবং নদীকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবন ও সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
শরৎকালে যখন কাশফুল ফোটে তখন দেখলে মনে ভরে যায় । বর্তমান নদীর কাছাকাছি পার্ক বা রিসোর্ট ও তৈরি হচ্ছে । এর ফলে বিনোদন কেন্দ্র এবং কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে । এছাড়াও নদীর তীরে গড়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল । কিন্তু শিল্প কারখানার দূষিত বর্জ্য পানির সাথে মিশে পানি দূষণ হচ্ছে । এর ফলে নদীগুলো নাব্যতা হারিয়ে ফেলছে ।