কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সুপরিকল্পিত এবং কার্যকারী পদক্ষেপের সংকলন। এটি একটি পরিকল্পনা বা পদ্ধতি যা কোন কাজ বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সুসংগঠিত রূপরেখা প্রদান করে থাকে। কৌশল কোন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের বা ব্যক্তির কার্যক্রমের দিক নির্দেশনা প্রদান করে এবং সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে থাকে।
প্রথমত, কৌশল নির্মাণের প্রক্রিয়া সঠিক পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে। এটি কার্যকরী কৌশল তৈরি করতে হলে প্রথমে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য স্পষ্ট করতে হয়। এরপরে সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সময়সীমা এবং কার্যকর একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হয়। পরিকল্পনার মধ্যে সম্ভাব্য ঝুঁকি বাধা এবং তাদের সমাধানের উপায় ও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। হু স্পষ্ট লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা কৌশল নির্মাণের মৌলিক ভিত্তি।
দ্বিতীয়ত, কৌশল বাস্তবায়নের সময় কার্যকরী ব্যবস্থাপনায় এবং নজরদারির প্রয়োজন। পরিকল্পনা অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কৌশল বাস্তবায়িত হয়। এর জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কাঠামা এবং কার্যকারী পর্যবেক্ষণ থাকা জরুরী। বাস্তবায়ন পর্বে সঠিক গোসলগত সিদ্ধান্ত এবং সমস্যার সমাধানের দক্ষতা সাফল্য অর্জনের সহজ করে থাকে।
কৌশলের কার্যকারিতা মূল্যায়ন ও পুনঃমূল্যায়ন অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। কৌশল বাস্তবায়নের পর ফলাফল পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় যে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে কিনা এবং কৌশল কার্যকর হয়েছে কিনা। এ মূল্যায়নের মাধ্যমে সাফল্য ও ব্যর্থতার কারণ নির্ধারণ করা হয় এবং প্রয়োজনে কৌশলে পরিবর্তন আনা হয়। ফলাফল বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য উন্নয়নমূলক কৌশল তৈরি করা সম্ভব।