স্বনির্ভর বাংলাদেশ

বিশ্বের কোন মানুষ এবং কোন রাষ্ট্রই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। পরস্পরের প্রয়োজনে তারা একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত

অন্যের সাহায্য ব্যতীত, নিজের জ্ঞানশক্তি বা দৈহিক শক্তির সাহায্য জীবন পরিচালনাই হচ্ছে স্বনির্ভরতা। অথাৎ স্বনির্ভর অর্থ নিজের ওপর নির্ভরশীল। সংকীর্ণ অর্থে স্বনির্ভরতা হল কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।

 

ব্যাপক অর্থে- সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য ও জনসংখ্যা সমস্যাসহ যাবতীয় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টাকে স্বনির্ভর আন্দোলন বোঝায়। ব্যক্তিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়জীবন সর্বত্র স্বনির্ভরতা উন্নয়নের চাবিকাঠি।

 

বিশ্বের কোন মানুষ এবং কোন রাষ্ট্রই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। পরস্পরের প্রয়োজনে তারা একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই এক দেশ তার চাহিদা পূরণের জন্য অন্য দেশের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে থাকে। এই নির্ভরশীলতা পারস্পরিক সহযোগিতানির্ভর।

 

কিন্তু এর বাইরেও এমন কতটুলো দেশ রয়েছে যারা সমৃদ্ধ দেশগুলোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে পারে না। তাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য জাতীয় ঋণের প্রয়োজন দেখা দেয়। জাতীয় উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি প্রভৃতি খাতকে উন্নয়ন করতে

 

এবং কারিগরি ক্ষেত্রে, যন্ত্রপাতির খুচরা অংশ আমদানি করতে হয়। আর তার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু দরিদ্র দেশগুলো যেখানে তাদের মৌলিক চাহিদাই পূরণ করতে পারছে না

 

সেখানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অর্থব্যয় তাদের সম্ভব হয় না। তাই তারা বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অজুহাতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করে। ফলে, হাত পাততে হয় অন্য দেশের কাছে। 


Juboraj Hajong Raj

75 Blog posts

Comments