আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পাটের নানাবিধ প্রয়োজন রয়েছে। পাট থেকে কাপড়, কার্পেট, চট, থলে, বস্তা ও দড়ি প্রভৃতি তৈরি হয়। আমাদের দেশে পাট থেকে ’জুটন’ নামে এ শ্রেণির ভারি মূল্যবান কাপড় ও পাটখড়ি দিয়ে ’পারটেকস’ তৈরি হচ্ছে।
তা ছাড়া পাটের আঁশ দিয়ে উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের নানারকম কুটিরশিল্প সামগ্রী এখন প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। পাটখড়ি দিয়ে কাগজও তৈরি হয়। গ্রামে পাটখড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়
এবং অনেক দরিদ্র চাষি পাটখড়ি দিয়ে বাড়ির বেড়া তৈরি করে থাকে। পাটগাছের কচি পাতা শাক হিসেবে খায়।বর্তমানে বাংলাদেশে পাটের চাষ ও পাটের বাজারজাতকরণ এক চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ও অন্য পাটকলগুলোর অব্যবস্থাপনার কারণে পাটচাষিরা পাট বিক্রির উন্মুক্ত বাজার আর পাচ্ছে না।
আমাদের দেশে পাট চাষিরা যাতে পাটের ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে সরকারকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিশ্বের বাজারে যেন আমাদের পাটের চাহিদা আরও বাড়ে সে জন্য বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।