সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

Comments · 23 Views

মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা না করে ধর্ম, বর্ণ ও জাতি-গোত্র ইত্যাদি দিয়ে পার্থক্য করে দেখাই সাম্প্রদায়িকতা।

মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা না করে ধর্ম, বর্ণ ও জাতি-গোত্র ইত্যাদি দিয়ে পার্থক্য করে দেখাই সাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে- এক গোত্র, বর্ণ ও জাতির ওপর অন্য গোত্র, বর্ন ও জাতির আধিপত্যের লড়াই।

 

সমাজবদ্ধ মানুষ নানা ধর্ম-সম্প্রদায়ে বিভক্ত। কিন্তু ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা এক নয়। পৃথিবীর সকল ধর্মের মূলকথা প্রেম, মৈত্রী, শান্তি ও সম্প্রীতি। এই শিক্ষা থেকে সরে এসে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য

 

সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ বা আক্রোশই সাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন প্রকাশ মানুষকে পশুতে পরিণত করতে পারে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শুধু সাম্প্রদায়িকতার কারণে

 

হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। দারুণভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবতা। সাম্প্রদায়িকতা তাই মানুষের যুগ-যুগান্তের অভিশাপ।এই পৃথিবী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষেরই বাসভূমি।

 

পৃথিবীতে বাইরের চেহারায় মানুষের মধ্যে সাদা-কালো ব্যবধান থাকলেও সব মানুষের ভেতরের রং এক এবং অভিন্ন। তবু মানুষ জাতিভেদে, গোত্রভেদ, বর্ণভেদ, বংশকৌলীন্য ইত্যাদি কৃত্রিম পরিচয়ে নিজেদের মানুষ পরিচয়টিকে সংকীর্ণ ও গণ্ডিবদ্ধ করে ফেলে।

 

কিন্তু সারাবিশ্বের সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক সেই বিচারে মানুষের আসল পরিচয় হচ্ছে সে মানুষ। তাই দেশে দেশে, মানুষে মানুষে ধর্ম ও বর্ণের পার্থক্য সৃষ্টি করে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়।

 

আমাদের প্রতিটি নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে মজবুত করে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তোলা। তাতেই সবার কল্যাণ ও মঙ্গল নিহিত।

Comments
Read more