মানুষ যেদিন থেকে গুহাবাস ছেড়ে সমাজবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল জীব হিসেবে বসবাস করতে অভ্যস্ত হলো, সেদিন থেকে এক বৃহত্তর মঙ্গল কামনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার গ্রহণ করলো।
মানুষ আজ সভ্যতার চরম শিখরে আরোহন করছে। আর এটা মানুষের একক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়নি বরং যুগ যুগান্তর ধরে চলে আসা মানব সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থ অর্জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
সমাজজীবন মাত্রই সহযোগিতা, সহিষ্ণুতা, মনুষ্যত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ ও প্রতিফলন। সমাজ সেবার মাধ্যমে একটি কর্মমুখর, সচল ও উন্নত সমাজ গঠন করা সম্ভব।
সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যেই জীবনের যথার্থ সার্থকতা নিহিত। অপরের কল্যাণ কামনাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের স্বার্থকে ত্যাগ করার নামই সমাজসেবা।
সমাজসেবায় মনুষ্যত্বের বিকাশ লাভ হয়। সমাজসেবার মাধ্যমে একজন অপর জনের কাছাকাছি আসতে পারে। ফলে সমাজে মানুষের সাথে মানুষের আত্মার বন্ধন গড়ে ওঠে। নিঃস্বার্থ সমাজসেবা মানুষের অনিন্দ্য সুন্দর গুণাবলির একটি।
প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা হিংসা-বিদ্বেষ, কপটতা-ভন্ডমি, এসব কুপ্রবৃত্তিকে শক্ত হাতে দমন করে সমাজসেবার মহান আদর্শে নিজেকে পরিচালিত করা।