স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলা যুবদলকর্মী জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পৌর শহরের নতুনবাজার ম্যাক্সিস্ট্যান্ড দখল করতে যান তার সমর্থকরা। এ সময় যুবদলের আরেক পক্ষ সুমনের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সুমনের সমর্থকরা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করলে গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জসিম নিহতের প্রতিবাদে ওই দিন বিকালে তার লাশ নিয়ে পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার কাচারি রোড রেলক্রসিং এলাকায় সবুজ আকন্দ নামের যুবদলের আরেক কর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটে। মেহেদী নামক এক যুবকের সঙ্গে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সবুজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। তারা সুযোগসন্ধানী, মাদকসেবী ও অপরাধী। তাদের কোনও নির্দিষ্ট দল নেই।
জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলায় বিএনপি পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত। কেউ কারও নেতৃত্ব মানতে নারাজ। মূলত আধিপত্য দ্বন্দ্বে এই দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশ কর্মবিরতিতে থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনও ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও জানা গেছে।