ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূসের স্ত্রী আফরোজী ইউনূস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে তার স্বজনরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের রাণীগঞ্জ বাজারের কাছে লস্কর দিঘি এলাকা বড় হয়েছেন তিনি। এই এলাকায় তার অনেক আত্মীয়-স্বজনই বসবাস করেন। তাদের বাড়ির জামাইয়ের হাতে এখন নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, এটা তাদের জন্য আনন্দের বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
আফরোজী ইউনূসের সম্পর্কের ভাই আসফাক হোসেন ওরফে বাবু মিয়া গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিবছরই বাংলাদেশেও যান তারা। শালা-জামাইবাবুর মধ্যে নানান বিষয়ে কথা হয়। আসফাক আরও জানান, তাদের জামাইবাবু শুঁটকি মাছ খেতে খুব ভালোবাসেন। তবে সব খাবারই অল্প পরিমাণে খান তিনি।
ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলুন, এটাই তাদের চাওয়া বলে জানান আসফাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। সবাই ভালো থাকুন। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে থাকুন। আগে যেমন মিলেমিশে থাকতেন, সেভাবেই থাকুন। ওনার (ড. ইউনূস) কাছে এবং উপরওয়ালার কাছে আবেদন করবো, শান্তি ফিরে আসুক।’
তার জামাইবাবুই শান্তি ফেরাতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন আসফাক হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘জামাইবাবু খুব ভালো মানুষ। তিনি সবসময় গরিবদের জন্য চিন্তা করেন। গরিবদের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, তার কথা চিন্তা করেন। কাজেই তিনি তো লোকের ভালো করবেনই।’
একই সঙ্গে আসফাক হোসেন বাংলাদেশের পরবর্তী নেতার কাছে ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য স্পট ভিসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এখন ভিসা পেতে ১৫ থেকে ২০ দিন লেগে যায়। তাতে খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। হয়তো কেউ অসুস্থ, দেখতে যাবো বলে ঠিক করেছি। ভিসা পেতে পেতেই তিনি চলে গেলেন। দেখা করতে পারলাম না। তার বদলে, বর্ডারে যাওয়ার পর, সেখান থেকেই ভিসা করে দিলে, সুবিধা হবে।’
আসফাকের স্ত্রী তনুজা হোসেন জানিয়েছেন, ভারতে এলে সময় পেলেই বর্ধমানে আসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘উনি সৎপথে আছেন বলেই তো আজ সৃষ্টিকর্তা তাকে এই জায়গায় নিয়ে গেছেন। দেখবেন বাংলাদেশে খুব শিগগিরই শান্তি ফিরবে। উনি খুব চেষ্টা করবেন। উনি তো খুব ভালো মানুষ, সৎ মানুষ। বাংলাদেশের মানুষ ওনার সঙ্গে আছে। সেই জন্যই তো তাকে চাইছে সবাই।