তিন মাসের কোনও কাহিনি নাই, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই: মান্না

Comments · 56 Views

শপথ নিতে যাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘নতুন য??

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত 'দেশে চলমান হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের মতো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক নেতারাসহ ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধান সেনাপতি বলেছেন, আজ রাত ৮টায় নতুন সরকার শপথ নেবে। আমরা সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, যারা দায়িত্ব পেলেন, তাদের বুঝতে হবে তারা যদি এই কাজে কোনও ভুল করেন, তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য ক্ষতি হবে। কারা আসছেন জানি না, একজনের কথা জানি, তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বব্যাপী সম্মানিত, খ্যাতিসম্পন্ন; তার অনেক যোগ্যতা আছে, সাফল্য আছে। আমরা আশা করি তিনি যদি সবার সহযোগিতা নিয়ে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন, সেটা মোকাবিলা করা সম্ভব।

 

‘আমি নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলতে চাই, আপনাদের ওপরই নির্ভর করছে সেই সিঁড়ি তৈরি করার দায়িত্ব, যেই সিঁড়ির ওপরে পা দিয়ে এই দেশের জনগণ একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়বে, নতুন বাংলাদেশ গড়বে, একটা সুস্থ নির্বাচন করবে।’

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘আমরা ভোট চাই, যেহেতু আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা বলতে চাই ভোটটা ভোটের মতো হতে হবে। সে জন্য পুরো দেশকে পুরো প্রশাসনকে সেভাবে সাজানো হোক, যাতে জনগণ তার ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে। এতে কতদিন সময় লাগবে জানি না। কোনও তিন মাসের কাহিনি নেই এখন। কাহিনি একটাই, এজেন্ডা একটাই, সেটা হচ্ছে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে যা করা দরকার, তা-ই করা হবে।’

ডাকাতির বিষয়ে মান্না বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার বলেছেন, আশকোনায় তিনি কাল সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। কারণ ডাকাতরা হামলা করেছে। মোহাম্মদপুর থেকে অনেকে ফোন করেছেন কালকে। সকালে মিরপুর থেকে ফোন করেছেন, সারা রাত ভরে ডাকাতি হয়েছে। এই ডাকাতিগুলো করলো কারা? বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে এতদিন, তার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এখন দখলদারত্ব শুরু হয়েছে। আমরা বলেছি দখলদারত্ব ভাঙবো, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। কিন্তু তার মানে আওয়ামী লীগের দোকান ভেঙে আরেক দল বা দলের নেতা সেই দোকান দখল করবে, এ জন্য তো আমরা লড়াই করিনি! এটা চলবে না।’

‘খুব স্পষ্ট কণ্ঠে বলতে চাই, সমগ্র মানুষ লড়াই করে যে দেশ নতুন করে মুক্ত করেছে, সেই দেশ ওদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী গড়ে তুলতে হবে। কোনও দলের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নয়, কোনও নেতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নয়, কোনও ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নয়; সমগ্র জনতার আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে এই দেশ গড়তে গড়ে গণতন্ত্রের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের রক্ত নিয়ে যারা খেলেছেন, তারা কোনোদিন মাফ পাবেন না। জনগণের সম্পত্তি যারা দখল করেছেন, তারা কেউ মাফ পাবেন না। যারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, তারা মাফ পাবেন না, সেটা ব্যক্তি হোক, নেতা হোক, দল হোক।’

এ সময় সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু নিজ দলের পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

Comments
Read more