এটি এক ধরনের কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ। অন্যান্য গাছের চেয়ে এ গাছ অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। যার কারণে এ গাছ স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে এর পাতা অনেকটাই নেতিয়ে পড়ে।তবে আপনি জানেন কি লজ্জাবতী গাছ শুধু লাজুকই নয়, এর আছে অনেক গুণ। তাই আজ আমরা জানব এর উপকারিতা সম্পর্কে।
লজ্জাবতীর বোটানিক্যাল নাম মিমোসা পুডিকা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর নানামুখী উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে।
লজ্জাবতীর বিশেষ বিষয় হল এই উদ্ভিদকে স্পর্শ করার সাথে সাথে এটি সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং হাত সরানো হলে এটি আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এই প্রজাতির উদ্ভিদ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এর ফুল গোলাপি রঙের এবং ছোট। এর মূল অম্লীয় এবং স্বাদে শক্ত।
এই ছোট ভেষজ উদ্ভিদ প্রধানত আর্দ্র অঞ্চলে পাওয়া যায়। এই উদ্ভিদের শিকড় ও পাতা ওষুধের আকারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসার জন্য লজ্জাবতী ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে লজ্জাবতীর অনেক উপকারের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে কফ দূর করা, নাক ও কান থেকে রক্ত পড়া, ডায়রিয়া, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, আলসার, কুষ্ঠ এবং যোনি রোগ থেকে মুক্তি দেওয়া ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।লজ্জাবতী পাতা গ্র্যান্ডুলার ফোলা, ভগন্দর, গলা ব্যথা, ক্ষত, আলসার, অর্শ বা পাইলস এবং রক্তপাত বন্ধের জন্য উপকারী।
এর মূল শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পাথর রোগে উপকারী। এছাড়া এটি বিষ, মূত্রবর্ধক বা অত্যধিক প্রস্রাবের প্রভাব কমায়।