এনামুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা (বৈষম্য) তো হতেই থাকবে। এটা আপনি কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে।’
এখন নতুন বাংলাদেশে সবকিছুই নতুন করে শুরুর আশা করছেন এনামুল, ‘এটা (বৈষম্য) সামনে যত কম হবে সেই আশা আমরা করবো। যখন আসলে দায়িত্ব নেওয়ার সময় আসবে, আমাদের ওয়ান টু ওয়ান যার দায়িত্ব যেটা তা যদি পালন করতে পারে, তাহলে অপিনিয়নের সুযোগ আসবে। আজ এখানে আপনাদের সামনে কথা বলার সুযোগ এসেছে। আমি যদি দুটা কথা বলে আমার কিছু উন্নতি করতে পারি, তাহলে করবো। এরকম জায়গায় জায়গায় যাদের সুযোগ আসবে তাদেরকে অপিনিয়নটা দেওয়া উচিত। এটা হচ্ছে বা এটা হওয়া উচিত। এটা অবশ্যই জরুরী।’
ক্ষমতার পালাবদলে এখন ক্রিকেট বোর্ডেও চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। উপেক্ষিত অনেক ক্রিকেটারেরই দাবি, নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে। সামনে কেমন ক্রিকেট বোর্ড দেখতে চান ক্রিকেটাররা? সেই উত্তর দিতে গিয়ে এনামুল বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটার বড় আলোচনা জরুরী। দুজন-একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি, তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা দরকার। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। আমি জানবো না দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে কী হচ্ছে। আমি প্রিমিয়ার লিগেরটা জানি। আমি ফুটবলার বিষয়টা জানি না। মনে করি ছোট থেকে বড় সবার সঙ্গে বসে দারুণ আলোচনা সম্ভব। সেখানে আমরা তুলে ধরতে পারবো আমাদের এটা ওটা প্রয়োজন।’
দেশকে সাফল্য এনে দিতে স্বচ্ছ ক্রিকেটের বিকল্প নেই, ‘আমাদের কাঙ্ক্ষিত যেই অর্জন, সেটা মানুষকে দিতে চাই। আমরা একটা ট্রফি দিতে চাই, এশিয়া কাপের ট্রফি দিতে চাই, আমরা বিশ্বকাপের ট্রফি দিতে চাই। একসঙ্গে অনেকে খেলছে এমন একটা টুর্নামেন্টের ট্রফি দিতে চাই। স্বচ্ছ ক্রিকেট চাই। জিনিসগুলো কিন্তু মানুষ আশা করে বসে আছে। যেটা আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা দিয়েছে, নারী ক্রিকেটাররা দিয়েছে। বড় সার্কিটে আমরা কিন্তু দিতে পারিনি। বড় অর্জন দেওয়া জরুরী এই দেশের জন্য। যেটা আমরা চেষ্টা করবো।’