অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর ১৬ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। তবে বর্তমানে ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় তাকে ঘিরে অনেকের কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন সুপ্রদীপ চাকমা। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে দুই বছরের জন্য সচিব পদমর্যাদায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। যা আগামী বছরের জুলাইয়ে শেষ হবে।
বর্তমানে রাঙামাটি শহরের রায় বাহাদুর প্যালেসে বসবাস করছেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা ট্রিবিউনকে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার কাছে ফোন এসেছিল। এত অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকায় গিয়ে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার প্রস্তুতি ছিল না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করছি, সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবো। সেখানে গিয়ে শপথ নেবো। তবে আজ শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে থাকতে পারলে ভালো লাগতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য এলাকাকে পুরো বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরবো। পার্বত্য এলাকার মানুষ সারা দেশের থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো আমরা। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবো। পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও অনেক কাজ বাকি আছে এখানে, সেগুলো নিয়ে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে জন্ম নেওয়া সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এ ছাড়া রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা এবং কলম্বোতে বাংলাদেশ মিশনেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুপ্রদীপ চাকমা ছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নূর জাহান বেগম, বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ, ইসলামী চিন্তাবিদ আ ফ ম খালিদ হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম।