Watch
Events
Blog
Market
Pages
More
দীর্ঘ সময় ধরে প্রচুর বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, যা বন্যার প্রধান কারণ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যখন নদ-নদী
**বন্যা** হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা প্রধানত অতিবৃষ্টি, নদীর পানি বৃদ্ধি, সাগরে জলোচ্ছ্বাস, বা বাঁধের ভেঙে যাওয়া প্রভৃতি কারণে ভূমির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হলে ঘটে। বন্যা একটি সাধারণ ঘটনা হলেও এটি মানুষের জীবন, সম্পদ, ফসল, অবকাঠামো এবং জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ### **বন্যার পরিচয় ও কারণ:** 1. **অতিবৃষ্টি**: দীর্ঘ সময় ধরে প্রচুর বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, যা বন্যার প্রধান কারণ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যখন নদ-নদীর পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তখন প্লাবিত এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। 2. **নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি**: নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়। বিশেষত যখন নদীর উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, তখন নিম্নভূমি অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। 3. **সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়**: সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়, যা উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বন্যার কারণ হতে পারে। 4. **বাঁধ ভেঙে যাওয়া**: কোনো বাঁধ ভেঙে গেলে হঠাৎ করে প্রচুর পানি নির্গত হয়, যা নিম্নভূমি এলাকায় বন্যার সৃষ্টি করে। 5. **বন নিধন ও মাটির ক্ষয়**: বন নিধন এবং মাটির ক্ষয়ের ফলে নদী ও জলাশয়ে অতিরিক্ত পলির সঞ্চয় হয়, যা পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এবং প্লাবন এলাকা সৃষ্টি করে। 6. **বৃষ্টি ও গ্লেসিয়ার গলন**: পাহাড়ি এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং গ্লেসিয়ারের বরফ গলন নদীর পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি করে, যার ফলে নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে। ### **বন্যার প্রকারভেদ:** 1. **ফ্ল্যাশ ফ্লাড (অকস্মাৎ বন্যা)**: অতি দ্রুত এবং অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে, সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত বা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে ঘটে। 2. **নদী বন্যা**: দীর্ঘমেয়াদী বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এবং তা তীর ছাপিয়ে গেলে নদী বন্যা ঘটে। 3. **সমুদ্র তীরবর্তী বন্যা**: ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের ফলে সমুদ্রের পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়লে উপকূলীয় এলাকায় এই ধরনের বন্যা দেখা দেয়। 4. **জোয়ারের বন্যা**: পূর্ণিমা বা অমাবস্যার সময় সমুদ্রের জোয়ার খুব বেশি হলে, বিশেষ করে যদি বাতাসের চাপ কম থাকে, তখন এই বন্যা ঘটে। ### **বন্যার প্রভাব:** - **মানুষের জীবন ও সম্পদহানি**: বন্যায় মানুষের জীবনহানি এবং সম্পদহানি ঘটে। বাড়িঘর, স্কুল, হাসপাতালসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। - **ফসলের ক্ষতি**: বন্যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়, যা খাদ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারে। - **রোগব্যাধির প্রকোপ**: বন্যার পর ডায়রিয়া, কলেরা, ম্যালেরিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। - **অবকাঠামোগত ক্ষতি**: রাস্তা, সেতু, বাঁধ এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়, যা পুনর্গঠনে প্রচুর সময় ও অর্থের প্রয়োজন হয়। ### **বন্যা প্রতিরোধের উপায়:** - নদী এবং খালের যথাযথ ড্রেজিং করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা। - উপকূলীয় এলাকায় মজবুত বাঁধ ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ। - বৃক্ষরোপণ এবং বন সংরক্ষণ। - দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং সতর্কীকরণ ব্যবস্থা জোরদার করা। বন্যা প্রতিরোধে এই উদ্যোগগুলো কার্যকর হতে পারে এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়তা করতে পারে। আপনি বন্যা সম্পর্কে আরও কিছু জানতে বা বিশেষ কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান?
124 Blog posts
Load more
You are about to purchase the items, do you want to proceed?